ইজরায়েল: কিশোরীরা মোবাইল ব্যবহার করছে ডেটিং এর জন্য

হিয়াম হিজাজি ওমারি আর রিভকা রিবাক একটি গবেষণা লব্ধ রিপোর্ট লিখেছেন যার শিরোনাম “আগুন নিয়ে খেলা: ইজরায়েলে বসবাসরত ফিলিস্তিনি কিশোরীদের কাছে মোবাইল সহজলভ্য করার পরিণতি”। তাদের গবেষণায় তারা গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন ইজরায়েলে বসবাসরত ফিলিস্তিনি মেয়েদের মধ্যে মোবাইল ফোনের ব্যবহার। এই লেখায় বিস্তারিত ভাবে তাদের গবেষণার সময় কালে ( ২০০৩-২০০৬) ঐসব কিশোরীদের মোবাইলের ব্যবহার দেখানো হয়েছে, যেখানে বিশেষ করে তারা তাদের ছেলে বন্ধুদের দেয়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে তাদের বাবা মার অজান্তে।

ডানাহ বয়েড তার শিফট৬ ব্লগে লিখছেন:

ফিলিস্তিনি ছেলেরা তাদের মেয়ে বন্ধুদের সাথে কিছুটা গোপনীয় ভাবে যোগাযোগ রাখার জন্য তাদেরকে মোবাইল ফোন উপহার দেয় যেখানে দেখা তাদের মধ্য দেখা সাক্ষাৎ করা খুবই দুরূহ। একই সময়ে মেয়েরা জানে যে তাদের বাবা মা পছন্দ করবে না এমন করে কোন ছেলের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করা ও সম্পর্ক রক্ষা – তাই তারা অনেক কষ্ট করে এই মোবাইল লুকিয়ে রাখে আর ধরা পড়ে গেলে তার ফল ভোগ করতে হয়। তবে ছেলেরা এই ফোন স্বাধীনতার একটি মাধ্যম হিসেবে দিলেও তার একটা মূল্য থাকে। আশা করা হয় যে মেয়েরা শুধু ওই ছেলের সাথে যোগাযোগ করা ছাড়া ওই ফোন ব্যবহার করবে না। লেখায়, হিজাজি ওমারি আর রিবাক একটি মেয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে এই ব্যাপারে তার নিরাশা তুলে ধরেছেন “আমি এক জেল থেকে বেরিয়েছি আর এক জেলে নিজেকে আবদ্ধ করার জন্যে নয়।” এইসব মেয়েরা লোক থেকে লুকিয়ে ফোন ব্যবহারের নানা উপায় বের করে আর নানা উপায়ে ফোন কার্ড যোগাড় করে।

তবে সন্দেহ নেই যে মধ্যপ্রাচ্যের মোবাইল যোগাযোগ প্রযুক্তি সেখানের কিশোরদের সাংস্কৃতিক বাধা পেরিয়ে যেতে সাহায্য করছে তাদেরকে ব্যক্তিগত যোগাযোগের রাস্তা খুলে দিয়ে। আরো উদাহরণ:

  • বিবিসির একটি আর্টিকেল যেখানে বলা হচ্ছে ইউএইর যুবকেরা ব্লু টুথ ব্যবহার করে উন্মুক্ত স্থানে অচেনা মেয়েদের কাছে ব্যক্তিগত মন্তব্য পাঠায়।
  • ইতিপূর্বে গ্লোবাল ভয়েসেসে প্রকাশিত হয়েছে আদনান ঘারাবিয়ার বেদুইন- ইজরায়েলি কিশোরদের ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেন্জারের এর ব্যবহার নিয়ে গবেষণা।
  • আলোচনা শুরু করুন

    লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

    নীতিমালা

    • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .