এবার আমরা আপনাদের একটি উদাহরণ দেখাব যে লেবাননীরা কি পরিমাণ পরিশ্রমী হতে পারে নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে তাদের দেশপ্রেম দেখানোতে অথবা টাকা রোজগারের উপায় বের করাতে। মিস রাশা নাজ্জার বাতাস ক্যানে ভরে রপ্তানী করার ভাবনাটি প্রথম উদ্ভাবন করেছেন। এখন তাই ক্যানে ভরা লেবাননের বাতাস রপ্তানী হয়ে প্রবাসী লেবাননীদের কাছে বিক্রি হয়।
স্টাফ লেবাননী পিউপল লাইক ও রাম্বলিং অফ এ লেবাননী হোপফুল ব্লগদ্বয় এই ব্যাপার নিয়ে লিখেছেন।
ট্রাই ক্লপ ব্লগ এই হাওয়া লেবনান (লেবাননের বাতাস) ক্যানের উপর করা একটি প্রমোশনাল ভিডিও পোস্ট করেছে এবং লিখেছে:
লেবানীজরা যে কোন কিছু কিনতে ও বিক্রি করতে পছন্দ করে। লেবানীজরা বিশ্বাস করে তারা প্রাচীন কালের ফিনিশিয়ান ব্যবসায়ীদের মত। তাই তাদের সময় কাটানোর উৎকৃষ্ট উপায় হাওয়া খাওয়া (রূপকার্থে) ছাড়াও তারা হাওয়া বিক্রি করাতেও সিদ্ধহস্ত। লেবানীজরা সফল হয়েছে লেবাননের বাতাস – হাওয়া লেবনান ক্যানে ভরতে এবং তাদের রপ্তানী করতে। এই ক্যানে লেবাননী শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের সীলও রয়েছে।
এদিকে ব্লগার আন্তুন লিখছে যে লেবনীজরা অন্য যো কোন জাতির মতই উদ্যোগী ও করিৎকর্মা:
ইবে (অনলাইন বাজার) চষে বেড়ানো আমার এক বন্ধু বলেছিল চাইনিজরা ইবেতে যে কোন কিছু বিক্রি করতে আগ্রহী। ভাল দাম পেলে তারা তাদের মাকেও বিক্রি করতে পিছপা হবে না।
আমার উত্তর ছিল যে লেবনীজরা অন্য যো কোন জাতির মতই উদ্যোগী ও করিৎকর্মা। তবে চাইনিজ এবং লেবানীজদের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে যে চাইনিজরা বিক্রিটা গুরুত্বের সাথেই শেষ করবে এবং আপনার মূল্য অনুযায়ী জিনিস পাবেন। অন্যদিকে লেবানীজ ব্যবসায়ী তার সর্ব প্রচেষ্টা দিয়ে ক্রেতাকে বোকা বানিয়ে তার কাছে জিনিসটি গছাবে এবং ক্রেতাকে তার পরেও বোঝাতে সক্ষম হবে যে সে খুব কম দামেই জিনিসটি পেয়েছে।
উদাহরণ স্বরূপ: ‘হাওয়া লেবনান’ বা ক্যানে লেবাননের বাতাস। রাশা নাজ্জার নাম্নী চতুর মহিলার মাথায় এই বুদ্ধি এসেছে। তার মতে এটি চতুর বিপণন প্রচেষ্টা নয়, একটি দেশপ্রেমী প্রচেষ্টা।