বলিভিয়া: টুইটবো টুইটার সম্প্রদায়

বলিভিয়ার টুইটার ব্যবহারকারীর সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে, কিন্তু এটি খুব বড় একটি সাড়া পেয়েছে টুইটবো পেজ তৈরির পর। টুইটবো পাতাটি চেষ্টা করবে এই জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যমের আর একটু প্রচার করতে সাহায্য করতে। এর সাথে, একটি ফেসবুক গ্রপও গঠন করা হয়েছে বলিভিয়ার টুইটারদের একসাথে করার জন্য। মূল দুইজন প্রতিষ্ঠাতা রিকার্ডো জুনা (@masaco) আর ডিয়েগো ওয়ারা ফার্নান্ডেজ (@teufelabgott) এই টুইট সম্প্রদায় সম্পর্কে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।

গ্লোবাল ভয়েসেস: টুইটবো এর ধারনা কি করে আসলো?

ডিয়েগো ফার্নান্ডেজ: আমার আর রিকার্ডোর মধ্যে কথা হবার সময় এই ধারণাটি আসে। আমরা সম্প্রতি এক সাথে হয়েছি আর আমাদের মনে হয়েছে যে আমাদের কিছু ধারণা আছে যা পৃথিবীকে দেখানোর মতো আমাদের কিছু জিনিষ আছে। যদিও এটা টুইটএমএক্স ( মেক্সিকোর টুইটার গোষ্ঠী) দারা অনুপ্রানিত , আমার মনে হয় আমাদের প্রকল্প শুধুমাত্র টুইটার এর মিটিং আয়োজনের বাইরে আরও কিছু করতে চাচ্ছে। পরে সেবাস্টিয়ান (মোলিনা) বলেছে যে তার ও একই ধরনের ধারনা আছে। আর যেহেতু সাহায্য দরকার, আমরা তাকে দলের একজন মূখ্য সদস্য করে নিয়েছি।

রিকার্ডো জুনা: এই ধারনা এসেছে @teufelabgott (@টয়েফেলআবগট) এর সাথে টুইট আদানপ্রদানের মাধ্যমে, যেহেতু প্রথমে আমরা দুইজন মাত্র এই ক্ষেত্রে কাজ করা দুজন বলিভিয়ান ছিলাম যারা টুইটার ব্যবহার করি আর তাই আমরা একটা গোষ্ঠী তৈরির প্রয়োজনীয়তা দেখেছি যারা এটা ব্যবহার করে তাদের নিয়ে। প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে ধারনাটা উন্নত করে আর অন্যান্য গোষ্ঠী যেমন টুইটএমএক্স এর দারা অনুপ্রানিত হয়ে আমরা ২৯ জানুয়ারি ২০০৮ তে ব্লগটা শুরু করি। ব্লগটা শুরু হওয়ার প্রায় সাথে সাথে আমরা একজন নবীন ব্যবসায়ী সেবেস্টিয়ান মোলিনার সাথে সংস্পর্শে আসি যাতে সে এই উচ্চাভিলাষী প্রোজেক্টে অংশগ্রহন করতে পারে। তার ও টুইটার নিয়ে একই ধরনের আবেগ আছে।

গ্লোবাল ভয়েসেস: এই সাইটের জন্য তোমাদের পরিকল্পনা কি?

ডিয়েগো ফার্নান্ডেজ: বর্তমানে আমরা বলিভিয়ার ব্লগারদের কাছ থেকে সমর্থন চাচ্ছি যাতে একটা অভিয়ান চালানো যায় লিঙ্ক আর আমন্ত্রণ পাওয়ার জন্য। যদিও আমাদের এখনো ৩০ জনের বেশি সদস্য নেই, আমরা তাদের সমর্থনের ব্যাপারটা জানি সরাসরি বার্তা আর ইমেইলের মাধ্যমে। ভবিষ্যতে আমরা চাই টুইটাররা যাতে শুধু নিজেদের মধ্যে মাইক্রোব্লগিং ই না করে, বরং ভালো যোগাযোগের সুযোগ তৈরি করে দেয় যার মধ্যে তথ্য, ব্লগ আর অন্যান্য সম্পর্কিত জিনিষ থাকবে।

রিকার্ডো জুনা: বর্তমানে আমরা টুইটারের সামাজিকীকরন নিয়ে কাজ করছি যাতে এর ব্যবহার বলিভিয়ায় বৃদ্ধি পায় কারন এটা একটা নতুন যোগাযোগ মাধ্যম যা বলিভিয়ায় খুব কম ব্যবহৃত হয়েছে। আমরা টুইটার ব্যবহার কারি আর বন্ধুদের মতামত শুনছি, আর আমারা ভাবছি বলিভিয়া টুইটার সমাবেশ চালু করতে, যার কোন তারিখ এখনো ঠিক করা হয়নি, আর বলিভিয়ায় এর ব্যবহারকারীর সংখ্যার উপর তা নির্ভর করবে।

গ্লোবাল ভয়েসেস: এই মাইক্রো ব্লগিং বা টুইটস নিয়ে বলিভিয়ায় আর কি কি করা যায়? সামাজিক/ মনরঞ্জন ছাড়া আর কোন সম্ভাব্য ব্যবহার আছে কি?

ডিয়েগো ফার্নান্ডেজ: টুইটারের মূল বিষয় হচ্ছে এর সামাজিক দিকটা, আর আমাদের এই জিনিস টা ব্যবহার করা উচিত যাতে বলিভিয়ানরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে পারে শুধু জনপ্রিয় এম এস এন ম্যাসেঞ্জারের উপর বেশী নির্ভর না করে। কিন্তু আর উপায় আছে যোগাযোগের আর মতামত জানানোর যাকে আমরা বলছি ‘ধারণার দোলনা'।

রিকার্ডো জুনা: এটা একটা চিত্তাকর্ষক এপ্লিকেশন যার মাধ্যমে ছোট ছোট টুইট শিরোনামে সংবাদ বলিভিয়াকে জানানো যাবে। ওই সংবাদের উৎস হতে পারে যেমন সি এন এন, লা তেরসেরা, গ্লোবাল ভয়েসেস, আহোরা বলিভিয়া ও অন্যান্য। টুইটারের বিকল্প ব্যবহার, আমাদের কল্পনার মধ্যে সীমাবদ্ধ, এখন যখন দেখা যাচ্ছে যে টুইটারকে রাজনৈতিক প্রচার, ছাত্র সম্প্রদায় আর ব্যবসায় নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য বা ব্যবসায়ে একটা পন্যের নাম প্রচারের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে আর নিজেদের ব্যক্তিগত ডাইরি হিসাবেও ব্যবহৃত হচ্ছে।

গ্লোবাল ভয়েসেস: আপনি কি টুইটার ব্যবহারের কোন মজার ঘটনা বলতে পারেন?

রিকার্ডো জুনা: টুইটারের মজার একটি জিনিষ হলো এখানে টুইট করে এমন সব ধরনের লোক পাওয়া যায় যেমন: ইভো মোরালেস, বারাক ওবামা, ফিডেল কাস্ট্রো, স্টিভ জবস আরো অনেকে – এই তালিকা দীর্ঘ হতেই থাকবে। কিন্তু এর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো যে কে কি করছে ওই মুহর্তে তা ১৪০টা ক্যারেক্টারের মধ্যে যে কেউ জানাতে পারে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .