- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

হিন্দি ব্লগ: ধূমপান নিষেধ এবং ক্রিকেটারদের নিলাম

বিষয়বস্তু: ভারত, খেলাধুলা, নাগরিক মাধ্যম, ব্যবসা ও অর্থনীতি, মানবতামূলক কার্যক্রম, শিল্প ও সংস্কৃতি, সরকার, স্বাস্থ্য

টুডেখবর [1] এক রিপোর্ট প্রকাশিত করেছে। এই রিপোর্টের বিষয় এক বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের করা এক জরিপ যাতে দেখা যাচ্ছে বেশীর ভাগ মেয়ে ধূমপায়ী পুরুষদের থেকে দুরে থাকতে চায়। জরিপের ফল অনুযায়ী শতকরা ৭৫ ভাগ মেয়ে ধূমপায়ী পুরুষদের বিয়ে করতে চায় না, আর ৬৭ ভাগ মেয়ে ধূমপান করা পুরুষের সাথে প্রেম বিহারে যেতে চায় না। তবে পুরুষের সহ্য ক্ষমতা অনেক বেশী, যদিও শতকরা ৪৭ ভাগ পুরুষ বলেছে যে তারা ধূমপায়ী মহিলাদের সাথে থাকতে চান না। জরিপটি ধুমপায়ীদের সমন্ধে আরও কিছু তথ্য দিচ্ছে। শতকরা ৪৬.৪ ভাগ লোক জানাচ্ছেন তারা সিগারেট ধরেছেন বন্ধু বা সহকর্মীদের অনুপ্রেরণায়। ওদিকে শতকরা ৩০ ভাগ ধূমপায়ী বলছেন ধুমপান করলে তারা মানসিক উদ্বেগ থেকে মুক্তি পান।

কিছুদিন আগে বিসিসিআই( বোর্ড অফ ক্রিকেট কন্ট্রোল ইন ইনডিয়া) আইপিএল বা ইনডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ নাম্নী ভারতের ঘরোয়া টুয়েন্টি টুয়েন্টি ক্রিকেট লীগের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। এর জন্য কিছুদিন আগে বিভিন্ন টিমের এক নিলাম অনুষ্ঠান হয়ে গেল। ভারতের কোটিপতি ব্যাবসায়ী মুকেশ আম্বানী , মদ ব্যাবসায়ী বিজয় মাল্য [2] এবং চলচিত্র তারকা শাহরুখ খান [3], জুহি চাওলা [4], এবং প্রীতি জিনতা [5] ও অন্য সব নামকরা ব্যাবসায়ীরা এইসব টিম কিনে নিয়েছেন। সম্প্রতি ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক খেলোয়ারদের নিলাম অনুষ্ঠিত হল। আইপিএল এর বিভিন্ন দল তাদের নিলাম ডেকে কিনে নেয় এ বছরের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে চালু হতে যাওয়া প্রথম আইপিএল টুর্নামেন্টে খেলার জন্যে।

টুডেখবর [6] জানাচ্ছে যে লীগে হায়দ্রাবাদ টিম মনে হচ্ছে সব চেয়ে শক্তিশালি দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। দলটির ক্যাপ্টেন ভি, ভি এস লক্ষনকে দলের আইকন খেলোয়াড় (নিলাম যোগ্য) হতে দেয়া হয় নি ফলে তার দলের পক্ষে বেশ কিছু বিদেশী তারকা খেলোয়াড়কে দলে ভেড়ানো সম্ভব হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার এন্ড্রু সাইমন্ডস [7]এ্যাডাম গিলক্রিস্ট [8], পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি [9] এবং দক্ষিণ আফ্রিকার হার্শেল গিবস [10]। ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল প্রত্যেকটি দল নিলামে ৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার ব্যায় করতে পারবে ফলে প্রত্যেকটি দলেরই সমান সুযোগ ছিল তার দলকে আইকন খেলোয়াড় দিয়ে সাজানোর জন্যে। এই চারজন খেলোয়াড়ের সবাই তুখোড় ব্যাটসম্যান যদিও এদের মধ্যে আফ্রিদি অল রাউন্ডার। এদের যে কোন একজনই বিশ্বের যে কোন বোলিং আক্রমণকে  ছিন্নভিন্ন করে ফেলতে পারে এবং ছোট সংস্করণের ক্রিকেটে তারা সেরা। একই ভাবে চেন্নাইও দলে ভালো খেলোয়াড়দের ভিড়িয়েছে। তাদের ক্যাপ্টেন এম ,এস, ধোনী [11] ভারতের ওয়ানডে দলের ক্যাপ্টেন। ধোনীকে পাবার জন্য তারা নিলামে খরচ করেছে ১.৫ মিলিয়ন ডলার। নিউজিল্যান্ডের অল রাউন্ডার জ্যাকব ওরাম [12] ও প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিং [13]-কেও দলে ভিড়িয়েছে চেন্নাই। এছাড়া চেন্নাই অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটসম্যান ম্যাথু হেইডেন [14] ও শ্রীলংকার মাস্টার অফ স্পীনার মুত্তিয়া মুরালীধরনকে [15] নিলামে কিনতে সমর্থ হয়। শাহরুখ খান ও জুহি চাওলার দল কোলকাতা মনে হচ্ছে না তেমন ভালো দল গড়তে পেরেছে, যদি তাদের দলে আছে সৌরভ গাঙ্গুলী [16], ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। তার সাথে আছে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক রিকি পন্টিং [17], নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম [18] ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল [19]। কোলকাতার বোলিং ডিপার্টমেন্টে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম দ্রুত গতির বোলার পাকিস্তানের শোয়েব আখতার [20]। একই ভাবে মুকেশ আম্বানি মনে হয় না তার দলে ভালো খেলোয়াড়কে নিতে পেরেছেন। যার ফলে তাকে নির্ভর করতে হচ্ছে ভারতের মাস্টার ব্লাস্টার ব্যাটসম্যান শচিন তেন্ডুলকার [21] , শ্রীলংকার বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান সনাথ জয়সুরিয়া [22], দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক এবং উদ্বোধনী বোলার শন পোলকের [23] উপর। প্রীতি জিনতার দল মোহালী কেবল একটা বড় তারকাকে দলে ভেড়াতে সমর্থ হয়েছে। তিনি অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলার ব্রেট লি [24], যার সাথে থাকবেন ছক্কা মারার বাদশা যুবরাজ সিং [25] এবং শ্রীলংকার কুমারা সাঙ্গাকারা [26]মাহেলা জয়বর্ধনে [27]। নিলামে অন্য দলগুলো খানিকটা হতাশ হয়ে ফিরেছে (মানে বড় খেলোয়াড় কেনার ব্যাপারে)। এখন টুর্নামেন্ট শুরুর পরই বোঝা যাবে তাদের কম বিখ্যাত খেলোয়াড়রা প্রতিপক্ষের বিখ্যাত খেলোয়াড়দের বিপক্ষে কেমন করে।

রিজেক্টমাল [28] -এর দীলিপ মন্ডল  জানাচ্ছেন ভারতীয় সরকার পরবর্তী পাঁচ বছরে এইডস মোকাবেলায় ব্যয় করবেন ২.৯ বিলিয়ন ডলার। এই কাজে সরকারের সাথে যোগ দেবেন অন্য আন্তর্জাতিক সংগঠন গুলো। এই প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য এটি নিশ্চিত করা যাতে লোকজনের এইডস না হয়। তিনি( মন্ডল) যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো এর জন্য টাকা দেবেন তাদের নাম উল্লেখ করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছে বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন [29] যারা এই প্রোগ্রামে দেবেন ৩৫৬ মিলিয়ন ডলার। একই প্রোগ্রামের জন্য ৪৪৭ মিলিয়ন ডলার আসবে দি গ্লোবাল ফাইট ফর এইডস, টিউবারকুলেসিস এন্ড ম্যালেরিয়া [30] নামক প্রতিষ্ঠানটি থেকে যা সারা বিশ্ব জুড়ে এইডস, যক্ষা ও ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে। এছাড়া অন্যদের মধ্যে বিশ্ব ব্যাংক দেবে ২৮১ মিলিয়ন ডলার। যারা এই প্রকল্পে টাকা দিয়েছে তাদের নাম এখানে [31] ন্যাশনাল এ্যাডভাইজারি কাউন্সিল অফ ইনডিয়ার ওয়েব সাইটটিতে দেখা যাবে। দীলিপ লিখছেন পাঁচ বছরে ২.৯ মিলিয়ন ডলার মানে বছরে অর্ধ বিলিয়ন ডলার , এই পরিমাণ ব্যয় হবে এমন একটি রোগের জন্যে যাতে বছরে ২০০০ লোক মারা যায় (এবং এই সংখ্যাটি কোন ক্রমেই তেমন বাড়ছে না)। অথচ ২০০৬-০৭ সালে মাত্র ১০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয় ন্যাশনাল ক্যান্সার কন্ট্রোল প্রোগ্রামের জন্য এবং এ বছর তা বেড়ে ৩৫.৫ মিলিয়ন ডলারে দাড়িয়েছে। সমস্যাটি হচ্ছে বছরে চার লাখ চল্লিশ হাজার জন লোক ক্যান্সারে মারা যায়। অন্য দিকে প্রতি বছর যক্ষায় মারা যায় ৩৭০,০০০ জন লোক। এই রোগটির জন্য বছরে ব্যয় হয় ৫৬.৫ মিলিয়ন ডলার। যক্ষা রোগটিও মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। এই বিশাল বাজেট এইডসের জন্য ব্যয় করা  হচ্ছে এবং এই টাকা রোগ টিকে কমিয়ে আনার জন্যে না অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যয় হবে তা নিয়ে লেখকের  মনে সন্দেহ রয়েই গেছে।