- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

কেনিয়াঃ রাজনৈতিক সংঘর্ষ নিরূপনে সাইবারএ্যাকটিভিজম

বিষয়বস্তু: কেনিয়া, ডিজিটাল অ্যাক্টিভিজম, দুর্যোগ, নতুন চিন্তা, নাগরিক মাধ্যম, নির্বাচন, প্রচার মাধ্যম ও সাংবাদিকতা, প্রযুক্তি, ব্যবসা ও অর্থনীতি, যুদ্ধ এবং সংঘর্ষ, রাজনীতি

কেনিয়ার নাগরিক সাংবাদিক এবং একটিভিস্টরা নির্বাচন পরবর্তী সঙ্কট, ধারাবাহিক সহিংসতার সংবাদ ও তথ্য সংগ্রহ করা ও বিনিময়, সঙ্কটকালের ছবি বিনিময় এবং অসহায়দের সাহায্য করার জন্য অর্থ জোগাড় করতে বর্ধিত মাত্রায় ঝুঁকে পড়েছেন জনপ্রিয় ওয়েব ২.০ টুলস এবং এপ্লিকেশন যেমন উইকি, ব্লগস, ফেসবুক, ফ্লিকর, টুইটার এবং ম্যাশআপ এর দিকে।

ম্যাশআপ

কেনিয়ান পন্ডিত  ব্লগ গুগল ম্যাপস [1] ব্যবহার করে সহিংসতা এবং ধ্বংসের চিত্র ধারণের একটি ম্যাশআপ তৈরি করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী আহবান করেছে: [2]

গুগল আর্থ বিস্তারিতভাবে কোন কোন জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি সংগঠিত হয়েছে তা তুলে ধরতে পারে। আমার মনে হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদী ভাবনার খোরাক হিসেবে এই তথ্যগুলির রেকর্ড রাখাটা সহায়ক হবে। স্থানীয় পর্যায়ে সমাধানের প্রক্রিয়ায় প্রথমেই আসতে হবে যা ঘটেছে তার সত্য চিত্র। একটা কিছু করতে আগ্রহী, প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্নদের কেউ কি গুগল ম্যাপস ব্যবহার করে সহিংসতা এবং ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র ধারণের জন্য একটা ম্যাশআপ তৈরি করবেন?

হোয়াইট আফ্রিকান এই একই বিষয় নিয়ে লিখেছে: [3]

বস্তুত, যদি এরকম একটি ঘটনা ঘটে – আশা করা যায় কারো কাছে তার একটা ছবি বা ভিডিও তোলা থাকবে। একটি রিপোর্ট যাতে থাকে কি ঘটেছে, কারা ঘটিয়েছে এবং একটি স্থানের কথা। এই তথ্য গুলো প্রদান করা হয় এবং তারপরে সেটাকে একটা ম্যাপ নির্ভর উপস্থাপনায় সন্নিবেশিত করা হয় যা স্থান এবং ক্যাটেগরী ধরে খুঁজে বের করার জন্য সহজসাধ্য হয়।

ইথান জুকারম্যান [4] বলেছেন:

কেনিয়ার কারুচুপির নির্বাচনের পরবর্তী সংঘর্ষ নিরূপণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মিডিয়ার কাছে নিহত ও আহতের সঠিক সংখ্যা থেকে অনেক কম থাকার সম্ভাবনা। একটা ব্লগ পোস্টে গত সপ্তাহে, ওরি ওকোলোহ পরামর্শ দিয়েছেন যে একটা ওয়েব বেইজড ম্যাপে সংঘর্ষের ঘটনা ও স্থানকে তুলে ধরার জন্য একটা প্রকল্প চালু করতে।

এই ধারণাটি দেশে থাকা ও প্রবাসী কেনিয়ানরা লুফে নেয়, এবং সপ্তাহব্যাপী পরিশ্রমের পরে কেনিয়ান ডেভেলপার ডেভিড কোবিয়া উশাহিদি ওয়েবসাইটটি প্রকাশ করেন। এই সাইটটি হোয়াইট আফ্রিকান ব্লগার এরিক “হ্যাস” হারসম্যানের এর ডিজাইন স্কেচের উপরে নির্ভর করে তৈরি করা এবং বিপুল মাত্রায় কেনিয়ান ব্লগার ও রাজনীতিবিদদের তথ্য এখানে একত্রিত করা হয়েছে।

কেনিয়ান পন্ডিতের ধারাবাহিক সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র ধারণের টুলের জন্য আহ্বানের ফসল হচ্ছে উশাহিদি [5]হোয়াইট আফ্রিকান [6] উশাহিদিকে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেন। সোহালী ভাষায় উশাহিদির অর্থ হচ্ছে স্বীকারোক্তি:

উশাহিদি.কম  [5] হচ্ছে যে সমস্ত মানুষদের জন্য কেনিয়ার নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার সাক্ষী তাদের জন্যে একটি টুল। আপনি যদি কোন ঘটনা দেখে থাকেন তবে তা জানাতে পারেন যা পরবর্তীতে একটা ম্যাপের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে যাতে অন্যরা দেখতে পারে কোথায় সংগঠিত হয়েছে সহিংসতা।

এই প্রকল্পের শুরুতে বাস্তবায়নের জন্য প্রযুক্তির অংশটাই মনে হতে পারত সবচেয়ে সুকঠিন। শেষাবধি, এটা একটা শুধু নিমিত্ত মাত্র কারন সব চেয়ে কঠিন কাজটি করার দায়িত্ব নিয়েছে এনজিওতে কাজ করা মানুষগুলো যারা তথ্যের সত্যতা ও ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করবেন।

“সামাজিক মিডিয়া যেমন হতে পারে” শীর্ষক লেখায় মাইক স্টপফোর্থ  লিখেছেন [7]:

সাইটটির ডিজাইন ও ধারণা আশ্চর্যজনকভাবে সহজ – এটি একটা গুগুল ম্যাপসের ম্যাশআপ যা ব্যবহারকারীদের বর্ণনা ও স্থান উল্লেখের মাধ্যমে অন্যায় ও সংঘর্ষের রিপোর্টিং এর সুবিধা দেয়।

বর্তমানে এটি ওয়েবের মাধ্যমে করা হলেও এসএমএসের মাধ্যমে অংশ নেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। সাইটটিতে কোন রেজিস্ট্রেশনের দরকার হয় না (কারণ, অবশ্যই, কেউ এখানে অর্থ উপার্জন করতে চায় না)

আলফাজিরি [8] উশাহিদী  সন্বন্ধে মন্তব্য করেছেন:

এই সঙ্কটকালে কেনিয়ানরা যোগাযোগ স্থাপন ও স্ব-রিপোর্টিং এর জন্য একটা জটিল তথ্য নেটওয়ার্ক তৈরী করেছে যেখানে কেনিয়া সরকার প্রচলিত মিডিয়ার উপরে নানা প্রতিবন্ধকতা স্থাপন করেছে। এর সাফল্য উল্লেখযোগ্য কিন্তু এক দল মানুষ বোধগম্যতার অনেক বেশী কিছু করে দেখিয়েছে। একদম ঘটনার স্থান থেকে তারা ধারণ ও পরীক্ষা করছে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা।

টুলটি বিকশিত হচ্ছে দ্রুত [9]:

এর ব্যবহার বিধি সবসময়ই আরো স্বচ্ছ ও উন্নত করা হচ্ছে। এক নিমিষে দেখে নেয়ার জন্য এখানে আমরা যা করেছি এবং যা করছি তার ধারণা দেয়া হল:

* আপনার মোবাইল ফোন থেকে এখন আপনি এসএমএসের মাধ্যমে রিপোর্ট পাঠাতে পারেন +৪৪৭৬২৪৮০২৬৩৫ নম্বরে
* আপনার রিপোর্ট ও ছবি ইমেইল করতে পারেন tips@ushahidi.com এ
* “শান্তি প্রচেষ্টা” নামে একটা বাটন সংযুক্ত করা হয়েছে যা আশাপ্রদ বিষয়গুলো দেখাবে
* “কিভাবে আপনি সাহায্য করবেন” পেজ শুরু করা হয়েছে।
* “কিভাবে আপনি সাহায্য করতে পারেন” এই পাতা চালু করা হয়েছে। প্রথম উপায় হচ্ছে মামামাইকস.কম [10] এর মাধ্যমে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে টাকা পাঠানো যা কেনিয়ান রেড ক্রসের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
* এবাউট পাতায় নতুন বাটন (কপি/পেস্ট কোড সহ) যোগ করা হয়েছে যা আপনি আপনার ব্লগে যোগ করে এর প্রচার করতে পারেন।

“ডিজিটাল একটিভিস্টরা কেনিয়াকে সাহায্য করার উপায় খুঁজে পেয়েছে” এই লেখায় ইথান লিখছেন [4]:

এই এপ্লিকেশনের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা কেনিয়ার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানাচ্ছে এবং এই জরুরী অবস্থা সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছে:
– কেনিয়ান ব্লগাররা তাদের দেশের অবস্থা কাছে থেকে পর্যবেক্ষণ করছে। তাদের আবেগ এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞানের সংমিশ্রন দিয়ে আমরা দেখতে পাব প্রযুক্তির নতুন ধারা ব্যবহার যার মাধ্যমে পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ ও তা লিপিবদ্ধ করা হবে যাদের দরকার তাদের জন্যে।
-একটি এসএমএস এপ্লিকেশন তৈরি করার চেয়ে একটি ওয়েব এপ্লিকেশন তৈরি করা খুবই সহজ যদিও এসএমএস এপ্লিকেশন হয়ত অনেক ক্ষেত্রে অধিক কার্যকরী। এটি উন্নয়নশীল দেশের জন্যে একটি বাস্তবতা। যেহেতু আমরা জানি যে (রেডিওর সাথে) মোবাইল হচ্ছে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর কাছে তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করার সবচেয়ে ভাল অবকাঠামো, আমাদের যে কোন (ওয়েব) এপ্লিকেশন তৈরি করার সময় তাই এটি লক্ষ্য রেখে ভাল টুল বানাতে সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন।
– যখন কোন সংকট ঘটে, মানুষ সাহায্য করার উপায় খোঁজে, এবং অনেকে অনলাইন টুল ব্যবহার করে সাহায্য করার চেষ্টা করে। আমরা এমন দেখেছি ২০০৪ সালের ডিসেম্বরের সুনামির পরে যখন দক্ষিন এশিয়া এবং বিশ্বের অন্যান্য স্থানের ব্লগার এসইএ-ইএটি ব্লগের মাধ্যমে ত্রাণের উদ্যোগ নিয়েছিল। আমরা এমন দেখেছি আমেরিকায় কাটরিনা সাইক্লোনের পর যখন বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে লোক মিলে পিউপল ফাইন্ডার নামে একটি ডাটাবেজ তৈরি করেছিল যার মাধ্যমে দুর্গতদের পরিবারের লোকদের একে অপরকে খুঁজে পেতে সহায়তা করা হয়েছে। এবং আমরা এটি এখন কেনিয়ায় দেখছি।

মোবাইল ফোন:

আফ্রিকানিউজ.কম [11] মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রিপোর্ট করার উপায় নিয়ে গবেষণা করছে কেনিয়ার সংঘাতের রিপোর্ট করতে [12]:

কেনিয়াতে প্রচার মাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার পর মোবাইল ফোন নির্বাচন পর্যবেক্ষণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বর্তমানে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা কভার করার জন্যে এটি তেমনই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

আফ্রিকানিউজ.কম  ইন্টারনেটসহ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কেনিয়ার নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতাকে রিপোর্ট করছে। স্থানীয় আফ্রিকান সাংবাদিকরা এইসব উন্নত প্রযুক্তির মোবাইল ফোন দিয়ে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে পোর্টেবল কি বোর্ড ব্যবহার করে তাজা সংবাদ, ছবি এবং ছোট ভিডিও সংগ্রহ করেছে। এই সাংবাদিকরা তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করেই আফ্রিকানিউজ.কম এ পোস্ট করেছে। আফ্রিকায় এই প্রথমবারের মত মোবাইল সাংবাদিকদের ব্যবহার করা হয়েছে।

সোকারি তার ‘কেনিয়ার সংকট উত্তরনে প্রযুক্তির ব্যবহার [13]‘ নামক পোস্টে জানাচ্ছেন যে মোবাইল ফোনের ক্রেডিট ব্যবহার করে অর্থ বিতরণ করা হচ্ছে।:

ভয় এবং সংঘাতময় পরিবেশে যখন প্রায় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল এবং পরিবহনগুলোও অপ্রতুল ও ব্যয়সাধ্য ছিল তখন আপনি কি করে আপনার বন্ধু এবং পরিবার পরিজনের সাথে যোগাযোগ করতেন? আপনি কি করে অর্থ লেনদেন করতেন যখন ব্যান্ক এবং অন্যান্য অর্থ স্থানান্তর প্রতিষ্ঠান যেমন ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন মানি ট্রান্সফার অফিসগুলো বন্ধ ছিল?

সহজ উত্তর হচ্ছে সহজলভ্য মোবাইল ফোন। একজন একটিভিস্ট (তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্যে নাম বলছি না) লিখেছে কিভাবে সে সাহায্যের টাকা দুরের অভাবী লোকদের কাছে বিতরণ করেছে মোবাইল ফোনের ক্রেডিট ব্যবহার করে। এল্ডেরটে একজনের পরিবহনের জন্যে টাকা প্রয়োজন ছিল। অন্যান্যরা ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের বুথ পাচ্ছিল না টাকা পাওয়ার জন্যে এই ধরনের নানা সমস্যা। তিনি তাদেরকে ফোন করেই ক্রেডিট স্থানান্তর করেছেন এবং তারা তা অর্থে রূপান্তর করতে পেরেছে (অন্যের কাছে বিক্রি করে)।

মাশাদা [14] নামের একটি কেনিয়ান অনলাইন ফোরাম একটি এস এম এস হটলাইন তৈরি করেছে যা ব্যবহার করে কোন ইন্টারনেট এক্সেস ছাড়া কেনিয়ানরা তাদের মোবাইল ব্যবহার করে সংবাদ পাঠাতে পেরেছেন:

সংঘাত ছড়িয়ে পরার সাথে সাথেই, মাশাদা, একটি জনপ্রিয় কেনিয়ান অনলাইন ফোরাম একটি একটি এস এম এস হটলাইন চালু করেছে সংবাদ পাঠানোর জন্যে। এছাড়াও অনেক কেনিয়ান জনপ্রিয় ব্লগ এস এম এস এর মাধ্যমে তাদের ব্লগে মন্তব্য পাচ্ছেন।

সাথে সাথেই কেনিয়ান সরকার মোবাইল ব্যবহারকরীদের সতর্ক করে দিচ্ছিল যে তারা যদি অশান্তি ছড়ায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে [15]

জশুয়া  আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছিলেন এসএমএস এর শক্তি এবং এর ব্যবহারের বিপদের কথা [16]:

গত বছর উগান্ডার কাম্পালায় মাবিরা জঙ্গল নিয়ে একটি প্রতিবাদ এএমএস ব্যবহার করে দ্রুত সংগঠিত করা হয়েছিল যা পরবর্তীতে সংঘাতে রূপ নেয় এবং একজন মারা যায়।

ব্লগ

গ্লোবাল ভয়েসেস অনলাইন একটি বিশেষ কেনিয়া কাভারেজ পাতা খুলেছে ‘২০০৮ নির্বাচন পরবর্তী কেনিয়া [17]

ব্ল্যাক লুকস [18] ব্লগ পামবাজুকা নিউজ [19] এর তৈরি করা একটি একশন এলার্ট ব্লগ [20] সম্পর্কে লিখছেন যা কেনিয়ার সাম্প্রতিক সংবাদ পরিবেশন করছে।

হোয়াইট আফ্রিকান কেনিয়ার নির্বচন পরবর্তী সংঘাত নিয়ে যে সমস্ত ব্লগ লিখছে তাদের একটি তালিকা তৈরি করেছে [21]

কেনিয়ান টুইটার বলয়:

আফ্রোমিউজিং তার টুইটার চ্যানেল [22] ব্যবহার করে কেনিয়া থেকে দ্রুত আপডেট ও রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন:

আপনারা বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে সাহায্য করতে পারেন: মামামাইকস সাহায্য সংগ্রহ পাতা এখন চালু আছে http://www.mamamikes.com ০৩:৫০ এএম জানুয়ারী ১১, ২০০৮ ওয়েব থেকে।
মামামাইকস এবং রেডক্রসের সাথে কাজ করছি সাহায্য সংগ্রহের একটি অনলাইন পাতা খোলার জন্যে ০৯:০৩ এএম জানুয়ারী ০৭, ২০০৮ ওয়েব থেকে।

এনবিআই: এল্ডে জিও ডাটা খুঁজছি গুগল ম্যাশআপ সাইটের জন্য। হ্যালো কারও কাছে তথ্য আছে এ সংক্রান্ত? ধন্যবাদ ১০:২৩ এএম জানুয়ারী ০২, ২০০৮ ওয়েব থেকে

ফ্লিকারে ছবি পোনস্ট করেছি। এল্ডেই আছি এখনও। উত্তেজনা একটি কমেছে দিনের আলোয়। কি হয় বলা যায় না। ০৪:১৫ এএম জানুয়ারী ০১, ২০০৮ ওয়েব থেকে
……
পোলিং স্টেশন পাশ কাটিয়ে যাচ্ছি। এল্ডির অনেক স্থানেই মনে হয় রায়লা জিতেছে বিশাল ব্যবধানে ০১:৩৯ পিএম ডিসেম্বর ২৭, ২০০৮ ওয়েব থেকে

কেনিয়ানিউজ  একটি টুইটার চ্যানেল [23] যা কেনিয়ার ঘটনাগুলো সম্পর্কে সাম্প্রতিক তথ্য দিচ্ছে:

বিরোধী দলীয় নেতারা তিনদিন ব্যাপী প্রতিবাদের জন্যে রাস্তায় নামছে বুধবার থেকে। নতুন করে সংঘাতের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে । ১৪ ঘন্টা আগে ওয়েব থেকে

কফি আনান কাল আসছেন দুপক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে। ১৪ ঘন্টা আগে ওয়েব থেকে

…..

হিউমাস রাইটিস ওয়াচ সরকারের কাছে আবেদন করেছে বুধবার থেকে অনুষ্ঠিতব্য বিরোধী দলীয় নেতা রায়লার রেলীকে বাধা না দিতে। ০৪:১৮ পিএম জানুয়ারী ১৩, ২০০৮ ওয়েব থেকে

কেনিয়ায় সংঘাতে মৃতের সংখ্যা ৭০০। প্রতিবাদ সমাবেশের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ০৪:১৭ পিএম জানুয়ারী ১৩, ২০০৮ ওয়েব থেকে

কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন কোন পুন:গণনা বা নতুন ভোট নয়। ০১:৩৯ পিএম জানুয়ারী ০৯, ২০০৮ ওয়েব থেকে

ফেসবুক

ফেসবুক ও তহবিল সংগ্রহ এবং তথ্য প্রচারের একটি অবকাঠামো হিসেবে দাড়িয়েছে। ফেসবুকে “কেনিয়ার নির্বাচন পরবর্তী মানবিক সংকট [24]” গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে এ সম্পর্কে তথ্য সবাইকে জানানোর জন্য।

এই পাতায় কিছু মন্তব্য:

“হাই নাদিন। সাহায্য করার ইচ্ছা প্রকাশের জন্যে ধন্যবাদ। উকুন্ডায় পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রনে। কিন্তু এখনও অনেক পরিবার এই সংকটের কারনে অর্থ কষ্টে ভুগছে। গত দুই সপ্তাহে বাজার বন্ধ ছিল লুট হয়ে যাওয়ার ভয়ে। আপনি তো জানেন সেখানে লোকেরা দিন আনে দিন খায়। যাই হোক এখন প্রধান চাহিদা হচ্ছে খাদ্য। অনেক অভুক্ত শিশু আছে সেখানে। আমি মামা কেনকে যে সাহায্য পাঠিয়েছি, আমি তাকে বলেছি তা দিয়ে যেন অভাবী ও অভুক্ত শিশুদের খাওয়ানো হয়। আমি জানি তার হৃদয় খুবই কোমল এবং অভুক্ত শিশুদের না খাইয়ে সে নিজে খাবে না।”

“হেই, আমি এমন গ্রুপই খুঁজছিলাম। রাজণেতিক বক্তৃতা ও কথাবার্তা শুনতে শুনতে আমি ক্লান্ত এবং আমি এখন শুধু সাহায্য করতে চাই। তাই উকুন্ডার পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও কিছু জানা এবং সেখানে এখন কোন জিনিষ অধিক প্রয়োজন? আমার কিছু বন্ধু ওইখানে থাকে এবং আমি আমার অর্থ সাহায্য তাদের কাছে পাঠাতে পারি যা দিয়ে তারা শিশুদের জন্যে প্রয়োজনীয় দ্রব্য পাঠাতে পারে। কার কি লাগবে একটু জানাবেন। ধন্যবাদ!”

আয়ারল্যান্ডের খ্রিষ্টিয়ান ব্লাইন্ড মিশন [25] তৈরি করেছে ‘কেনিয়ায় জরুরী সংকট [26]‘ গ্রুপ

তেমন আরেকটি গ্রুপ “পিস ফর কেনিয়া [27]

এই ফেসবুক কজ সামারিটান পার্স ( http://www.samaritanspurse.org/ ) সংস্থার জন্যে তহবিল সংগ্রহ করার জন্যে তৈরি। এই সংস্থা অন্যান্যদের সাথে প্রায় পাঁচ লক্ষ দুর্গত কেনিয়ানদের (যার মধ্যে প্রায় আড়াই লক্ষ শরনার্থী) সাহায্য করার ব্রত নিয়েছে। জাতিগত দাঙ্গায় আরও অনেকে এখন পালাচ্ছে।

ফ্লিকার

২০০৮ সালের কেনিয়ার নির্বাচনের [28] একটি ফ্লিকার পাতা [9] রয়েছে:

আফ্রিকাপাথের জশুয়া ওয়ানিয়ামা কেনিয়ার নির্বাচন পরবর্তী সংকটের উপর ফ্লিকারে তুলে দেয়া ছবির সংখ্যা বৃদ্ধি ও তা ব্যবস্থাপনার জন্যে এগিয়ে এসেছেন। আপনারা কেনিয়ার নির্বাচন পরবর্তী ছবিগুলো এই ফ্লিকার গ্রুপে পাবেন। আপনার ছবিও পাঠাতে পারবেন ‘KenyaElection2007′ এই ট্যাগ আপনার ছবিতে ব্যবহার করে।

উইকি

লিথুয়ানিয়ার একটিভিস্ট আঁদ্রেয়াস কুলিকসকাস তার অনলাইন কমিউনিটির উইকি [29] ব্যবহার করে সাহায্যের আবেদন করছেন:

আমাদের সাথে দেখা করেন! আমাদের চ্যাট এবং ইউক সেসনে এসে কেনিয়ার পুন:জাগরনে সাহয্য করুন। লিথুয়ানিয়া এবং বিশ্ব থকে অনুপ্রেরনা গ্রহণ করুন।

সোকারি তাদের কাজ সম্পর্কে লিখছেন [13]:

একটি চমৎকার রিসোর্স হচ্ছে ওয়ার্কনেটের গ্লোবাল কমিউনিটি উইকি সাইট। তারা কেনিয়ানদের জন্যে নতুন সাইট, ব্লগ, একশন এলার্ট, চ্যাট রুম ইত্যাদির নিমিত্তে ডেডিকেটেড ওয়েব স্পেসের সুবিধা দিচ্ছে।

ইথান লিখছেন [4] কেনিয়ানরা কি করে পে পাল, এম পেসা এবং মামা মাইক (কেনিয়ার প্রধান ই-কমার্স সাইট) ব্যবহার করছে:

লিথুয়ানিয়ার একটিভিস্ট আঁদ্রেয়াস কুলিকসকাস তার অনলাইন কমিউনিটির উইকির মাধ্যমে পে-পাল ব্যবহার করে তহবিল সংগ্রহ করছে এবং মোবাইল ফোন ক্রেডিট ট্রান্সফার সার্ভিস যেমন মামা মাইক [30] এবং এম পেসার মাধ্যমে তা কেনিয়ার লোকদের কাছে বিতরণ করছে। তারা কার কাছে টাকা পাঠাতে হবে তা নির্ধারণ করছে সাধারণ জনপ্রিয়তা নির্ধারনী পদ্ধতির মাধ্যমে- তারা তাদের কেনিয়ান বন্ধুদের কাছে জানতে চাচ্ছে কার বেশী সাহায্য দরকার।

ডিজিটাল ডিভাইড কমাতে সচেষ্ট

সবশেষে, কেনিয়ার ডিজিটাল ডিভাইড কমাতে এটি কেমন ভুমিকা রাখছে?

যদিও ব্লগ, ইমেইল, টুইটার এবং ইন্টারনেট কেনিয়ায় আসলে কি ঘটছে তা বিশ্বের কাছে জানাতে সচেষ্ট ছিল, আমি সন্তুষ্ট নই এতে। কারন এইসব তথ্য প্রবাহ তৃণমূল পর্যায় থেকে হতে হবে। সাধারণ কেনিয়ানদের অনেকেরই সামর্থ নেই এইসব ওয়েব নির্ভর টুল ব্যবহার করার।

আসুন আমাদের চিন্তা এবং কার্য:ক্ষমতা এইসব প্রযুক্তি ধনীদের পাশ কাটিয়ে সাধারণ মানুষদের সমস্যা সমাধানের জন্যে কাজে লাগাই।