- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

জাপান: আলো বন্ধ করে দাও

বিষয়বস্তু: জাপান, নাগরিক মাধ্যম, পরিবেশ, ব্যবসা ও অর্থনীতি, সরকার

১৯৭০ সালে প্রথম শুরু হওয়ার পর কনবিনি [1] নামে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ক্রমেই জাপানের দৃশ্যপটের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে গেছে। বর্তমানে এই দোকানগুলোর সংখ্যা ৪৫০০০ ছাড়িয়ে গেছে, এর শতকরা ৯৪ ভাগই দিনরাত ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। এতে আপনি যা চান তাই পাবেন – খাদ্য, পানীয়, স্ন্যাকস, এটিএম, টিকেট, বিদ্যুৎ-ফোন ইত্যাদির বিল প্রদান কি সুবিধা নেই এতে [2]!

অবশ্য সাম্প্রতিককালে শক্তির অপচয় করার জন্যে এদের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তোলা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল অবকাঠামো কাউন্সিলের গত নভেম্বরের এক সভায় একটি আলোচনা উত্থাপিত হয়েছিল যে শক্তির অপচয় কমানোর জন্যে এই সব নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানের দিনরাত খোলা রাখার সময়সূচীতে পরিবর্তন আনা দরকার কিনা [3]। জাপানের ফ্রান্চাইজ এসোসিয়েশন তার নিজস্ব বিশ্লেষণ উত্থাপন করেছে যে দোকান খোলার সময় ২৪ ঘন্টা থেকে কমিয়ে ১৬ ঘন্টায় নামিয়ে আনলে তা কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন ৩-৪% মাত্র কমাতে পারবে অথচ বিক্রি প্রায় ২০% কমে যাবে। অন্যদিকে কমিটির কিছু সদস্যের মতে দোকানের সময় পরিবর্তনের ফলে মানুষের জীবনযাত্রায়ও কিছু পরিবর্তন আসবে যা হয়ত সুফল বয়ে আনবে। যদিও সভাটি কোন ফলাফল ছাড়াই সমাপ্ত হয়েছে জাপানী ব্লগাররা এই বিতর্ককে আরও আগে বাড়িয়ে নিয়েছেন।

কিনো [4] (ফ্রান্চাইজ) এসোসিয়েশনের বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন এবং যুক্তি দেখাচ্ছেন:

…わたしはコンビニとかファーストフード店の24時間営業とかには反対。
夜中に活動するなよーって思うのです。
前にもここで書いたけど。
何時間か照明消すだけで、何パーセントもの電力が節約できます。
たった何パーセント?でも、日本で消費されてる電力って物凄い量だから、その何パーセントが大きいんだぞ。

আমি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান এবং ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্টের ২৪ ঘন্টাই খোলা রাখার বিপক্ষে। আমার এটাই মনে হচ্ছে যে রাতে কাজ করা উচিৎ নয়। মাত্র কয়েক ঘন্টা আলোর সুইচ বন্ধ রেখেই কিন্তু আমরা শতকরা কিছু ভাগ বিদ্যুৎ খরচ কমাতে পারব।

(মনে হচ্ছে) মাত্র কিছু ভাগ? যেহেতু জাপানের বিদ্যুতের ব্যবহার খুব বেশী তাই এই কয়েক ভাগই অনেক বেশী।

অন্য দিকে মামমাম৩ ব্লগের ব্লগাররা মনে করছেন [5] যে বলপ্রয়োগ না করে এইসব দোকানের সময়সূচীর পরিবর্তন সম্ভব নয়:

こんな24時間営業の店ができたのはそんな昔のことではない。以前は24時間営業の店などなかったが、さほど不自由した覚えはない。それが、一度慣れてしまうとなかなか後戻りはできない。コンビニの営業時間短縮でさえ一筋縄ではいかない。はたして90年比で6%削減は可能なのだろうか。
よほどの強制力を働かせない限り、実現困難と思っている

এই ২৪-ঘন্টা খোলা দোকান গুলো কিন্তু খুব বেশী দিন আগে চালু হয় নি। এর আগে কিন্তু আমাদের এমন দোকান ছিল না, কিন্তু আমার কিন্তু কখনও মনে হয় নি যে আমাদের কোন অসুবিধা হতো। তবে যখন একবার এতে অভ্যাস্ত হয়ে গেছি পূর্বাবস্থায় ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। এমনকি দোকান খোলার সময় সংকুচিত করাও কঠিন হয়ে দাড়াবে। আমি আশন্কা করছি যে ১৯৯০ সালের অবস্থা থেকে ৬% ও কমানো আদৌ সম্ভব কিনা।

এটিকে আইন করে না করলে আমার মনে হয়না এটি করা সম্ভব হবে।

অন্ধকারে জ্বলছে: জাপানী নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানের একটি বৈশিষ্ট।

সিওকান [6] তার চিন্তাধারা প্রকাশ করছে:

日本は本当に自販機・コンビニの多い国です。
一度ドイツに旅行した事があるのですが、あの国ではそういうものは無かったような記憶があります。
それでも、普通に人々は暮らしているんですよね。
なので、きっと、日本人だって大丈夫の筈!
…と、かなり以前から私自身はいつも思っていて、出来るだけ自販機やコンビニの買い物(緊急以外は)を避けていました。
家庭の電力消費量なんて、全電力量の約2割にしかすぎません。
でも、自販機一台で家数軒分、コンビニだと数十軒分の電力を使っているんだそうです。
なのに、もう街中自販機・コンビニだらけ…。
ちょっとゾッとする光景だと思います。

জাপানে সত্যিই অনেক ভেন্ডিং মেশিন এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান রয়েছে। আমি একবার জার্মানী গিয়েছিলাম এবং এরকম কোন কিছু আমি সেখানে দেখিনি। কিন্তু মানুষেরা সাধারণ জীবন যাপন করছে।

তাই আমি মনে করছি যে জাপানীদেরও কোন সমস্যা হবে না। আমি এটিই মনে করছি কিছুদিন ধরে এবং খুব জরূরী না হলে আমি ভেন্ডিং মেশিন ব্যবহার করছি না এবং এইসব দোকান থেকে (রাতে) কিনছি না।

মনে রাখা দরকার একেকটি ভেন্ডিং মেশিন একটি বসত বাড়ীর সমান বিদ্যুৎ খরচ করে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানের ক্ষেত্রে প্রায় ডজনখানেক বাড়ীরও বেশী। এই শহর এইসব মেশিন ও দোকানে পূর্ণ। কি বিভৎস চিত্র!

হিসিকাও [7] লিখছেন:

コンビニだけをターゲットにしなくても、みんなが早寝早起きをして、電気を使わないようにすればいいんじゃないかと思ってしまった。
これはみんなの問題だから。かく言う私も、こんな時間まで起きてパソコンをいじっているのだから、そう言えたものではないが。

শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানকে দোষ না দিয়ে আমি চিন্তা করছি আমরা সবাই যদি রাতে আগে শুতে গিয়ে সকালে আগে উঠতে পারি তাহলে কেমন হয়? এটি তো সবারই সমস্যা। অবশ্য আমিও বা এটি কোন মুখে বলি কারন আমি রাত জেগে কম্পিউটারে কাজ করছি।

ব্লগার কে [8] এই সমস্ত আলোচনাটিকেই বিদ্রুপের চোখে দেখছেন এবং মনে করছেন যে এই জনপ্রিয় সেবা বন্ধ করে সমস্ত জনগণের জীবন যাত্রার পরিবর্তন করানো একটি অবাস্তব চিন্তা:

仕事、遊び、生活全てに結びついている深夜という時間帯。
もちろん法人側としても、利益を生む時間帯だからこそ24時間営業、深夜営業の店舗、サービスが生まれています。
利益が生まれているということは、国民が当たり前に必要としている事。
現実的な話ではない。

আমাদের পুরো জীবন ধরেই গভীর রাত খেলা ও কাজের সাথে সম্পর্কিত। আর আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যেও এই সময়টা লাভ করার, এবং এজন্যেই ২৪ ঘন্টা সেবা গুলো খোলা হয়েছিল। যেহেতু এগুলো সফল হয়েছে তার মানে মানুষ এগুলো চেয়েছে। এটি একটি অবাস্তব বিতর্ক।

[…]

そもそもにして、こういう節約活動に国民が協力する第一条件を誰もわかっていない。
それは、「楽しめる」ということ。
地球規模の責任感を国民ひとりひとりに求めるのは難しい話。
「私が夜中にちゃんと寝ればCO2削減になる」
現実的じゃないでしょ?
どうせ考えるなら、
「ビリヤードやりながらCO2削減」
とか
「運転免許試験に落ちたら寄付」
とかの実現を一所懸命考えたらどうです?

さ、コンビニにおでん買いに行こう。

শুরু থেকে কেউ বোঝে না যে শক্তি অপচয় রোধে মানুষের সহায়তা পাবার শর্ত কি। এটি হচ্ছে উপভোগ করা। প্রত্যেক মানুষের ঘাড়ে বিশ্বের দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়া খুব কঠিন কাজ।

“আমি যদি এখন শুতে যাই, কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন কমে যাবে।”

এটাতো বাস্তব নয়। তাই নয় কি?

যদি তুমি সত্যিই এটি করতে চাও তাহলে এটি কেন চিন্তা করতে পারনা “বিলিয়ার্ড খেলার সময়ও কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের চিন্তা করা যায়” অথবা “ড্রাইভিং টেস্টে ফেল করলে দান কর”

আচ্ছা ঠিক আছে আমি একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানে যাচ্ছি (এই রাতে) ওডেন [9] কিনতে।