ওয়ান ল্যাটিনাস ব্লগ মেক্সিকান ঐতিহ্য লাস পসাডাস সম্পর্কে লিখছেন:
ক্রিসমাস সন্ধ্যাকে সামনে রেখে লাস পসাডাস একটি প্রস্তুতিমূলক উৎসব। লাস পসাডাস হচ্ছে একটি আনন্দ দায়ক এবং অদ্বিতীয় মেক্সিকান ঐতিহ্য যা ১৬ই ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়। এটি মেরী এবং যোসেফের নাজারেথ থেকে বেথলেহেম যাত্রার ঘটনাগুলো স্মরণ করে। সন্ধ্যা হবার পর প্রতি ‘পসাডা'র দিন দুটি শিশু একটি মিছিল এগিয়ে নিয়ে যায়। এই শিশুরা একটি পাইনের কারুকার্যখচিত বেদী বহন করে যাতে মেরী এবং যোসেফ একটি গাধার পিঠে চড়ে যাচ্ছে এটি দেখান হয়। এই মিছিলের অন্যান্য সদস্যেরা, যাদের সবার হাতে একটি করে লম্বা ও চিকন জ্বালানো মোমবাতি ধরা থাকে, ‘পসাডা'র জন্য নির্ধারিত বাড়ীর দরজার দিকে গাইতে গাইতে যেতে থাকেন “লিটানী অফ দ্যা ভার্জিন” গান। একসাথে তারা একটা পুরানো ঐতিহ্যবাহী গান গেয়ে বাড়ির লোককে জাগিয়ে মেরীর রাতের বিশ্রামের জায়গা প্রার্থনা করে। বাড়ির লোক তাদেরকে মারার ভয় দেখায় যদি না তারা অন্য কোন দিকে যায়। পড়তে থাকুন…
নিকার কুলিনারিয়া ব্লগ জানাচ্ছে: কলোম্বিয়ান তামালেস কি করে হয়
কলোম্বিয়ার ক্রিসমাস বেশ বড় ব্যাপার। আমেরিকার মতো এটা ১-২ দিনের ব্যাপার না আর যদি আপনার প্রায় ১৫ দিন ধরে লাগাতার উৎসবে অংশগ্রহনের অভ্যাস না থেকে তাহলে আপনার জন্য এটা কিছুটা ক্লান্তিকর। পরের বছর যদি ক্রিসমাস কলোম্বিয়ায় কাটাতে চান তাহলে কয়েক মাস আগে থেকে রাম খাওয়ার অভ্যাস করে আপনার লিভারকে সহ্য করা শিখিয়ে আসবেন। না হলে আপনি ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের পরে কিছু মনে রাখতে পারবেন না। আরও পড়ুন….
এখন নতুন বছরের ঐতিহ্যগুলো সম্বন্ধে জানা যাক:
ইকুয়েডর থেকে, পাচো লারা ২০০৮ সালকে স্বাগত: জানাচ্ছে এবং ওই সময়ের ঐতিহ্যবাহী উৎসবে কি কি করনীয় তা লিখছেঃ
ইকুয়েডরে নতুন বছরকে ‘পুরানো বছর’ ও বলা হয়। নামে যেমন বোঝা যায় বিভিন্ন অনুষ্ঠান শুধু নতুন বছরকেই স্বাগত জানায়না, বরং পুরনো বছরকেও মনে করে। বেশ কিছু নিরপেক্ষ অনুষ্ঠান পালিত হয়, প্রত্যেকটিই কিছু ব্যক্তিগত আর সামাজিক মূল্য যুক্ত করে। কিছু কিছু এর মধ্যে বেশ অদ্ভুত, যেমন ১২টা আঙ্গুর খাওয়া, ডাল আর মধ্যরাতে মহিলারা হলুদ অন্তর্বাস পরে (সবই সৌভাগ্যের জন্য)। নতুন বছরে কোথাও যেতে হলে মধ্যরাতে একটি ঝোলা নিয়ে বাড়ি বা পাড়ার চারদিকে একটা চক্কর দিতে হবে। এমন আরো ছোট ছোট জিনিষ আছে যা দিয়ে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল হওয়া যায়। কিন্তু আমার কাছে সব থেকে মজার জিনিষ হলো পুরনো বছরকে পোড়ানো। বিস্তারিত পড়ুন…
ডোমেনিকান রিপাব্লিক থেকে রেমোলাচা ডট নেট লিখছে যে পরিবারসহ নতুন বছরের জন্যে অপেক্ষা করতে তারা কতো ভালোবাসেঃ
বেশিরভাগ লোক যারা নতুন বছর উদযাপনের জন্য থেকে গেছে রাজধানী আর সান্টো ডোমিংগোতে তাদের পরিবারের সাথে নতুন বছরের অপেক্ষা করার পরিকল্পনা জানিয়েছেন, একটি ভালো সাধারন খাবার, গল্প বলা আর কিছু খেলাধুলা…
পানামা থেকে চিরিকি চ্যাটার বিস্তারিত জানিয়েছেন যে চিরিকির অংরাজ্য ডেভিডে ২০০৮ কিভাবে গৃহীত হয়েছে তার “ডেভিড নতুন বছর উদযাপন করলো” পোষ্টের মাধ্যমে:
যতো মধ্যরাত এগিয়ে আসলো বাইরের কর্মকান্ড ততো বেড়ে গেল। মধ্যরাতের ৫- ১০ মিনিট আগে আমি হাল ছেড়ে বারান্দায় গিয়ে দাড়ালাম। বেশ কিছু আতশবাজি ফুটছিল, কিন্তু মধ্যরাতের মতো না। মধ্যরাতে মনে হলো পুরো পৃথিবী ফেটে যাচ্ছে। অদ্ভুত ছিল সেটি। আমি কয়েক মিনিট দেখে ঠিক করলাম যে এর ছবি তুলে রাখতে হবে রেকর্ডের জন্য।
ডেভিডে রাখা সব আতশবাজির স্ট্যান্ডের ও ছবি তুলে রাখা উচিত ছিল। সব জায়গায় এই স্ট্যান্ড ছিল। পুরো পোস্ট পড়ুন…
পানামা থেকে বুকেট গাইড ছবি দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন ‘চিরিকি'র লোকেরা কি মজা করে নতুন বছর উদযাপন করেছে: স্বাগত ২০০৮ বুকেট স্টাইলে।
ছবিগুলো লি জেল্টযারের তোলা
দ্যা ল্যাটিন আমেরিকানিস্ট লাটিন আমেরিকার নতুন বছরের ঐতিহ্যের কিছু উৎসবের খবর জানিয়েছেন এক সাথে করেঃ
নতুন বছর মাত্র কয়েকদিন দূরে থাকতে আমাদের প্রায় সবার পার্টির পরিকল্পনা চুড়ান্ত হয়েছে। এর মধ্যে একটা অংশ হচ্ছে আমাদের যার যার নিজের দেশের ঐতিহ্য অনুযাযী কিছু করা। আমাদের অনেকে স্পেনের ঐতিহ্য অনুযাযী কিছু অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করি যেমন ১২টা আঙ্গুর ঠিক রাত ১২টায় খাওয়া আর প্রত্যেকটার সাথে একটা মানত করা যাতে ১২ মাসেই সৌভাগ্য থাকে…
বলিভিয়া থেকে ভানিয়া বালদেররামা জানিয়েছে (স্প্যানিশ ভাষায়) মানূষ ঐতিহ্যগত ভাবে কি করে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়:
শুকরের মাংস খাওয়াঃ লোকে নতুন বছরের প্রথম দিনে আর রাতের খাবারে শুকুরের মাংস খায় সৌভাগ্যের জন্য। এতে পুরো বছর জিনিসের প্রাচুর্য থাকে। আমার শাশুরীর কথা অনুযায়ী মুরগী খাওয়া কখনো উচিত না তাহলে সারা বছর অভাবে থাকতে হয়।
১২ টা আঙ্গুরঃ রাত বারটার আগে যে কোন রঙ্গের ১২টি আঙ্গুর যোগাড় করতে হবে আর ঠিক রাত ১২টায় একটা একটা করে খাওয়ার সময় নতুন বছরে পেতে চান এমন ১২টি জিনিষ চিন্তা করতে হবে।
টাকা গোনাঃ ঠিক মধ্যরাতে টাকা গোনা শুরু করেন, এই অভ্যাসের ফলে নতুন বছরে আপনার প্রচুর থাকবে।
পারা রেসিবির আ লোস ট্রেস রেয়েস মাগস, দ্য কুকিং ডিভা কিং ট্রপিকাল রুটি কফি দিয়ে তৈরি করে এই ঐতিহ্যের কথা বলেছেনঃ
রোস্কা রে দে রেয়েস বা রস্কা দে লোস রেয়েস মেক্সিকো, পুয়াটিরিকো আর পর্তুগালে খাওয়া হয় জানুয়ারীর ৬ তারিখে, যা ক্যাথলিক ধর্মে পালিত হয় বেথলেহেমে তিন রাজা যিশুর জন্য উপহার নিয়ে যে দিন এসেছিল সেই দিন হিসাবে । রুটিতে একটা ছোট্ট সিরামিকের পুতুল, পয়সা বা বিন লুকিয়ে রাখা যায় আর যে লোক ওইটা পাবে সে ক্যান্ডেলমাস (ফেব্রুয়ারি ২) এ একটি পার্টি দেবে অথবা পরের বছরের ‘রোস্কা'র দায়িতে থাকবে।
রেসিপিতে কফি ব্যবহার করা হয়েছে ফলগুলোকে সজিব করার জন্য কালো রাম বা মদের পরিবর্তে আর এর ফলে স্বাদে পরিবর্তন এসেছে। মনে রাখবেন যে এই বিশেষ রুটি তৈরি করতে ২ দিন লাগে, তাই এর সাথে যুক্ত কাজের জন্য সময় রাখবেন। আরও পড়ুন…