মরোক্কোঃ ব্লগে লেখার স্বাধীনতা

মরোক্কোকে প্রায়ই বলা হয় মুসলিম অধ্যুষিত পৃথিবীর সব থেকে স্বাধীন দেশ। মহিলারা প্রায় পুরুষদের সমান অধিকার ভোগ করে, প্রেস তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রনহীন, কম ওয়েবসাইটকে ব্যান করা হয়, আর এখন প্রেস লিখতে পারে না এমন বিষয়ে ব্লগে লেখা যায়। এজেন্স-ফ্রঁস-প্রেসের সাম্প্রতিক একটি লেখার দাবি অনুযায়ী মরোক্কোর ব্লগ উত্তর আফ্রিকান রক্ষণশীল মুসলিম দেশের মধ্যে সব থেকে স্বত:স্ফুর্ত স্বাধীন ভাবে কথা বলার জায়গা।

দ্যা ভিউ ফ্রম ফেজ প্রথম এই রিপোর্টের লিংক দিয়েছেন এবং এই অংশটুকু তুলে ধরেছেনঃ

দ্যা ভিউ ফ্রম ফেজ ইংরেজিতে সফল ব্লগ আর প্রায় ১ হাজার লোক প্রতিদিন এটা পড়ে।

তাদের দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য দ্যা ভিউ ফ্রম ফেজ সাম্প্রতিক মরোক্কো ব্লগ পুরষ্কারের ফলাফল জানিয়েছে যেখানে তাদেরকে মরোক্কোর দ্বিতীয় সেরা ব্লগ নির্বাচিত করা হয়েছে।

লেখাটি সম্বন্ধে কুয়েতে বসবাসরত ভারতীয় ব্লগার ইট বিলংস টু ম্যান টু এর এর কেল্ভি কে আর্টিকেলটি সম্পর্কে বলেছেন বলেছেন:

যেহেতু আমাদের ভারতীয়দের সব ধরনের স্বাধীনতা আছে, আমরা তাই বুঝতে পারব না কিভাবে ব্লগ আর প্রেসের স্বাধীনতা দেয়া হয়না। আমাদের কাছে অদ্ভুত লাগবে যখন মন্তব্যের জন্য ব্লগারদের জেলে যেতে হয়। যেমন একজন সৌদি ব্লগার তার ব্লগের একটা লেখার জন্য এখন জেলে, আর একই ধরনের ঘটনা হয়েছে আফ্রিকা, টিউনিসিয়া, বাহরাইন, কুয়েত, মিশর আর আলজেরিয়ায়।

দ্যা মরোক্কো রিপোর্ট লেখাটার কথা উল্লেখ করেছে :

মরোক্কো সম্বন্ধীয় ব্লগার হিসাবে গত দুই বছরে এই লেখার সাথে আমাকে একমত হতে হবে- কি লিখবে তা বাছাই এর ব্যাপারে মরোক্কোর ব্লগারদের চোখে পড়ার মতো স্বাধীনতা আছে যা মারোখ-ব্লগস ডট কমের লেখা থেকে দেখা যায়।

বলে বাহুল্য – শুভেচ্ছা ব্লগমা! আশা করি তুমি আকর্ষণীয়, চিন্তার উদ্রেককারি খবর দিতে পারবে আর নিজেদের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা যেন অব্যাহত থাকে।

লেখাটায় জনপ্রিয় মরোক্কোর ব্লগার লারবি আর মেহেদি৭ এর নাম উল্লেখ ছিল।

ঘটনাক্রমে এভরিথিং মরোক্কোর ব্লগমার অংশ হিসেবে কিছু বলার ছিলঃ

আমি এখন বাসা থেকে ডিএসএল সংযোগ নিয়ে ল্যাপটপে ব্লগ করি পৃথিবীর একটা সব থেকে পুরানো মধ্যযুগীয় শহরে বসে। আমি এখানে বসে এটা যখন লিখছি তখন পাড়ার মহিলারা তদের রুটি শেকার জন্য সমষ্টিগত চুল্লিতে নিয়ে যাচ্ছে আর শহরের চিকন রাস্তা দিয়ে গাধা মাল টানছে আর পযটকরা হাতে তৈরি সামগ্রী দেখছে। ছাদে স্যাটেলাইট ডিশ ভরা যেখানে অনেক মহিলা এখনো তাদের কাপড় ধোয় আর হাতে মশলা বাটে। ছাদে আপনি বিড়াল বা চড়ুই এর মতো ভেড়া বা মুরগিও দেখবেন।

সময় আর প্রযুক্তি সব সময় এগিয়ে যায়, আগের থেকে এখন অনেক তাড়াতাড়ি, কিন্তু আরামদায়কভাবে জীবনের প্রতিদিনের ছন্দ একই রকম আছে। ফেজের জন্য এটা বিশেষ ভাবে সত্যি।

কিন্তু মরোক্কোতে যদিও বেশ কিছু উন্নতি হচ্ছে প্রয়ুক্তি আর স্বাধীনতার ক্ষেত্রে, এখনও অনেকটা পথ যেতে হবে। ব্লগার মোটিক অবিচার আর সেন্সর খুঁজে পেয়েছেন মরোক্কোতে। গ্লোবাল ভয়েসেস এডভোকেসির সামি বিন গারবিয়াও মরোক্কো র সেন্সরশিপ নিয়ে লিখছেন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .