লেবানন: জরুরি অবস্থা না অন্য কিছু

লেবানন এখন একটি রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে অবস্থা করছে কারন সেদেশের সংসদ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এমিলে লাহুদের উত্তরসূরী নির্বাচন করতে আজ ব্যর্থ হয়েছে।

লাহুদ তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে সেনাবাহিনীকে আদেশ দেন দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে যার ফলে বিপক্ষ দলের উপর দায়িত্ব পড়েছে নতুন প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষনার আর আন্তর্জাতিক তাগিদ বেড়েছে পরিস্থিতি শান্ত রাখার।

লেবাননের ব্লগাররা তাড়াতাড়ি সাড়া দিয়েছেন, আর এম বশির পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছেন:

… পরিস্থিতিকে এভাবে সংক্ষেপে বলা যায়: আজ মধ্যরাতে লেবাননে কোন প্রেসিডেন্ট নেই; সরকার (যদি তার বৈধতা নিয়ে কথা না বলা হয়) পদত্যাগ করেছে, সংসদের অধিবেশন নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার জন্য ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত আর সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব আছে।

মুস্তাফা সেখানকার পরিস্থিতির আরও বর্ণণা দিয়েছেন:

যারা লাহুদের কথার অপব্যাখ্যা করছেন তাদের জন্যে একটি তথ্য: মেয়াদ শেষ হওয়া প্রেসিডেন্ট কোন জরুরী অবস্থা বা সামরিক শাসন জারী করেননি। যে কথার কারনে বিভ্রান্তির তৈরি হয়েছে তা হলো : ”জরুরি অবস্থার জন্য যে পরিস্থিতি দরকার তা লেবাননে আছে”।

লাহুদ যা করেছেন তা হলো সেনাবাহিনিকে দেশের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব দিয়েছেন। এটার দরকার ছিলনা কারন সিনিওরা সরকার আগেও এরুপ করেছিল । এই বক্তব্যের মাধ্যমে মেয়াদ শেষ হযে যাওযা প্রেসিডেন্টের আর ভাল কিছু না করতে পারার অক্ষমতা প্রকাশ পেয়েছে। পাকিস্তান, মিশর বা জর্ডান যেখানে সেনাবাহিনী শক্ত হাতে জনগনকে নিয়ন্ত্রন করে তাদের সাথে এদেশের পরিস্থিতি তুলনা করার চিন্তা আমাদের মাথা থেকে বাদ দিতে হবে।

লিলিয়ান অন্য দিকে চিন্তা করছেন যে তার দেশে যা হচ্ছে তা সাংবিধানিক কিনা। তিনি আরও বলেছেন যে লেবাননের জন্য ওই দিন পরষ্পর বিরোধী ছিল নিন্মোক্ত কারনে:

১ ) ১০৯ জন সরকারী ও বিরোধী দলীয় সাংসদ দুপুরে সংসদে আসল।
২) সর্বসম্মতভাবে একজন রাষ্ট্রপতি প্রার্থীকে নির্বাচন করতে নভেম্বর ৩০পর্যন্ত অধিবেশন স্থগিত করা হল।
৩) অধিবেশন বাতিল হওয়ার পর ডেপুটিরা মিডিয়ার মাধ্যমে একে অপরের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।
৪) ক্যাবিনেট সন্ধ্যা ৬.৩০ থেকে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছে।
৫) প্রেসিডেন্ট (১১.৫৯ নভেম্বর ২৩, ২০০৭ পর্যন্ত বলবৎ) এমিলে লাহুদ নভেম্বর ২৪ ২০০৭ থেকে জরুরি অবস্থা জারী করেছেন।
৬) সংসদ এটি অস্বীকার করে বলেছে যে সংবিধান অনুযায়ী সংসদে পাস করে আর অধিকাংশের সাক্ষর নিয়ে তার পর জরুরী অবস্থা জারি করা যেত পারে। (এটা আজ রাত ৮.৩০ এর খবর)।

ব্লাকস্মিথ জেড পরিস্থিতির সর্বশেষ এখানে জানিয়েছেন

লেবাননের ব্লগগুলো থেকে আরও সাম্প্রতিক খবরের জন্যে আমাদের সাথেই থাকুন।

- আমিরা আল হুসাইনি

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .