পরিবেশঃ ব্লগাররা আলোচনা করছেন শক্তি আর ‘জিরো আফ্রিকা শোভাযাত্রা’ নিয়ে

বেশ কয়েকজন ব্লগার সম্প্রতি শক্তির ব্যাপারটা নিয়ে লিখেছেন, ‘আনবিক শক্তি’ থেকে ‘প্লাগ এন্ড প্লে পাওয়ার’, চীনের ‘দুষনমুক্ত উচ্চাভিলাষ’ আর ‘পরিবেশ সহায়ক তথ্যকেন্দ্র’ নিয়ে। দক্ষিন আফ্রিকা, চীন বা আমেরিকা যে দেশই হোক শক্তির ব্যাপারে সমাধানের অভাব ব্লগারদের চিন্তিত করেছে।

আয়ান জিলফিলান জিজ্ঞেস করছেন যে “এখন কেন লোকে আনবিক শক্তির কথা চিন্তা করছে”? তিনি কারনগুলো দেখিয়েছেন যে কয়লার বদলে লোকে কেন এখন আনবিক শক্তির কথা চিন্তা করে:

যদি আনবিক আর কয়লার মধ্যে বিতর্ক হয় তাহলে খুব কম কথাই আছে। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ভীতি এবং কয়লা ব্যবহার করে শক্তি তৈরিতে যে বিশাল প্রাকৃতিক খরচ তার ফলে আনবিক শক্তিকে এক কথার সমাধান ভাবা হয়।

কিন্তু এভাবে চিন্তা করে মূল সমাধান থেকে সরে যাওয়া হচ্ছে আর তা হলো – নবীভুত শক্তি(রিনিউএবল এনার্জী)।

তিনি নবীভুত শক্তির সুবিধার কথা বলেছেন যেমন বলেছেন আনবিক শক্তি তৈরির বিরুপ দিকগুলো, নবীভুত শক্তি প্রোজেক্টের উদাহরন দিয়েছেন আর জোর দিয়ে বলেছেন যে আনবিক নবীভুত নয়!

যদি পুরো পৃথিবী আনবিক শক্তি ব্যবহার করে তাহলে ইউরোনিয়ামের মজুদ ৯ বছরে শেষ হয়ে যাবে। ইউরোনিয়ামের দাম বেড়ে যাবে আর তার পর চেষ্টা করা হবে নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে আরো ইউরোনিয়াম সংগ্রহ করার যেমন আনবিক ইন্ডাস্ট্রি বলেছিল যে রেডিওএক্টিভ ব্যবহৃত জালানী আবার ঠিক করে ব্যবহার করা। বতমানে তা খুবই দামী আর বিপদজনক।

কার্বনস্মার্টের রোরি আনবিক আর নবীভুত শক্তিকে চীন, ভারত আর দক্ষিন আফ্রিকার ক্ষেত্রে চাহিদা আর যোগানের পরিপ্রেক্ষিতে তুলনা করছেন। তিনি বোঝার চেষ্টা করেছেন মানুষ কেন আনবিক শক্তি চায়। তিনি সাধারন জ্বালানী থেকে নবীভুত শক্তি তৈরির কথা বলেছেন আর এটা করতে গিয়ে তিনি ‘প্লাগ এন্ড প্লে পাওয়ার’ এর ধারনার কথা বলেছেন:

নবীভুত শক্তি যোগানে ঘাটতি হতে পারে আর এই জন্য বড় কারখানায় এটাকে মূল শক্তির উৎস হিসাবে এখনো ব্যবহার করা হচ্ছেনা তবে প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। ছোট মাত্রার নবীভুত শক্তিকে অনেক কিছু ঠিক করতে হবে, কিন্তু লাভ এতে অনেক বেশি। যেমন ছোট মাত্রার শক্তি কারখানা স্থাপন জনপ্রিয় হলে স্থানীয় সমাজের লোকেরা শক্তি তৈরি আর উন্নত করার কাজ করতে পারে (অনেককে চাকুরি দিতে পারে) এবং যে কোন একটি নির্দিষ্ট প্রযুক্তির উপর নির্ভর করার দরকার পড়ে না। একটি পরিস্থিতির জন্য যেটা সব থেকে ভালো সেটাই নিতে হবে আর অন্যটার জন্য হয়তো সম্পূর্ন অন্য প্রযু্তি।

চায়না ডায়ালগ ব্লগে রেশেল ওয়াসার চীনের ‘দুষনমুক্ত উচ্চাভিলাষ‘ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

চীনের ৯০% বিদ্যুত এখনো কয়লা থেকে তৈরি হয় কিন্তু তারা নবীভুত শক্তির ক্ষেত্র বাড়াবার পরিকল্পনা করেছে। চীন কি আসলে দীর্ঘমেয়াদী শক্তি পেতে পারবে?

আমেরিকাতে গ্রুপ ব্লগ ওয়াল্ডচেঞ্জিংজেরেমী ফালুদি এর লেখায় বিশেষ করে তথ্য কেন্দ্র (ডাটা সেন্টার) গুলোকে পরিবেশ সহায়ক করার কথা বলা হয়েছে। ডাটা সেন্টার হচ্ছে কম্পিউটার সার্ভারভিত্তিক তথ্য কেন্দ্র যা অনেক কোম্পানি যেমন গুগুল, আমাজন আর অনলাইনের ব্লগ কোম্পানির অনলাইন সেবার কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে। এদের যথেষ্ট বিদ্যুত লাগে আর জেরেমি তার লেখায় ডাটা সেন্টারদের আরো কার্যকর করার কথা আলোচনা করেছেন, যাখানে তিনি পরিবেশ সহায়ক কম্পিউটিং, গবেষনা, প্রযুক্তি, আর রিপোট এর একটা সাম্প্রতিক খবর দিয়েছেন।

শেষে গ্রীন কার এর কার্ল জিরো আফ্রিকা শোভাযাত্রার কথা ঘোষনা করেছেন:

জিরো আফ্রিকা শোভাযাত্রায় পরিবেশ বান্ধব যানবাহনের প্রদর্শনী হবে এবং এগুলো টেকসই হবে কিনা সেটা বোঝানোর একটি চ্যালেন্জ গ্রহন করবে। এতে বিদ্যুত, সোলার, হাইব্রিড, হাইড্রোজেন আর বায়ো-ফুয়েলের গাড়ি থাকবে।

এই রেইস ২০০৯ এর জানুয়ারিতে হবে আর কেপ টাউন থেকে ভিক্টোরিয়া ফলস পয়ন্ত প্রায় ৪০০০ কি মি যাবে। আমরা আপনাদের জানাবো।

- জুলিয়ানা রটিচ

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .