ঈদের পরে [1] কুয়েতে বেশিরভাগ লোক কি করছে? বেশিরভাগেরই দুটি মাত্র করনীয় রয়েছে – হয় তারা সিনেমা দেখতে যাচ্ছে বা ভালো কোন রেস্টুরেন্টে খেতে যাচ্ছে।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, নতুন সুপারহিট ছবি দ্যা কিংডম [2] কুয়েতে নিষিদ্ধ হওয়ার পর যারা এটি দেখতে চায় তাদের জন্যে কি উপায়?
হিলালিয়া ব্লগের আমির বলেছেন [3] সবার চাহিদার কথা:
আমরা যা বলেছিলাম, হাজার হাজার পাইরেটেড কপিতে বাজার ছেয়ে গেছে। আমি নিশ্চিত যে তথ্য মন্ত্রানলয় খুশি যে স্টুডিও আর প্রদর্শকরা কোন রাজস্ব পাচ্ছে না কিন্তু নকলকারীরা ঠিকই লাভবান হচ্ছে।
জেডডিস্ট্রিক্ট ব্লগের মারজুকও [4] কুয়েতে সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন।
এটা একটু অসুবিধা। কুয়েতে কোন সিনেমা দেখতে চাইলে তা বেশ কঠিন। সিনেস্কেপের কিওস্ক ঠিকমত কাজ করছিল না আর মনে হচ্ছিল এমন অগোছালোভাবে টিকেট তারা বিক্রি করছে যে পারলে তা উগড়ে দেয়। সিনেমায় যে পপকর্ণ বিক্রি হয় তার মান যে কেন এরা ঠিক করে না তা আমি বুঝিনা কারন সুলতান সেন্টার থেকে যেটা কেনা হয় তার স্বাদ অনেক ভালো।
মারকুজ নারী পুরুষের জন্যে পৃথক ধরনের সিনেমা, দুষ্টু বাচ্চা আর সিনেমার সেন্সরশীপ নিয়েও কথা বলেছেন।
এরমধ্যে আইও৮১ [5] ব্লগের কায়েস একটি রেস্টুরেন্টে খেয়ে কসম কেটেছে যে আর কখনো সেখানে যাবেনা।
পুরো ইদের ছুটিতে আমি ২ জন বন্ধুকে নিয়ে ভিলা ফেরুজে গিয়েছি। তাদের কাস্টমার সাভিসকে আমি ঘৃনা করি কিন্তু ওদের খাবার খুব ভালো।
ঈদ ছাড়া কুয়েতের বিভিন্ন ব্লগে আরো কয়েকটি কৌতুহলোদ্দীপক বিষয় ছিল:
ইন্টলএক্সপাটর [6] ব্লগ কুয়েতের অধিবাসীদের ভিজিটর বলে ডাকার একটা নতুন প্রস্তাবের কথা বলেছেন।
সব বিদেশী কর্মীদের ‘ভিজিটর’ বলা একটি বোকার মতো প্রস্তাব। আমাদেরকে আমন্ত্রিত- কর্মী বা শুধু কর্মী বলা যায় কিন্তু ভিজিটর বললে যারা আসলেই তাই তাদের জন্য তো সমস্যা হবে।
ড্রিমস আর মেড অফ দিস এর ইসেচ পুরোনো ডাক বাক্সের খোঁজ অব্যাহত রেখেছে যেটির ব্যবহার কতৃপক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে।
এই বাক্সের সামনে আমি বিষ্মিত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। এটার কি হয়েছে? কেন এটাকে অক্রমন করা হয়েছিল? আমি বাকরুদ্ধ।