ইরানঃ তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা আহমাদিনেজাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে

গত ৮ই অক্টোবর সোমবার শত শত ছাত্র তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে (ইরানী) রাস্ট্রপতি মাহমুদ আহমাদিনেজাদের উপস্থিতির প্রতিবাদ করে। আল জাজিরার ভাষ্য অনুযায়ী যখন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বর্ষের শুরু ঘোষনা করে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তখন ছাত্ররা ”একনায়কতন্ত্র নিপাত যাক” বলে স্লোগান দিয়েছে। বেশ কয়েকজন ব্লগার সেখানকার ছবি আর মন্তব্য প্রকাশ করেছেন।

স্বাধীনতার কন্ঠ:

জমহুর মনে করিয়ে দিয়েছেন যে গত বছর অনুরুপ এক ঘটনায় আমীর কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা মাহমুদ আহমাদিনেজাদের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ করেছিল এবং তার ছবি পুড়িয়েছিল। এই ব্লগার আরো বলেছেন যে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা স্বাধীনতার পক্ষে স্লোগান দিয়েছে আর জেলে থাকা ছাত্রদের মুক্তির জন্য দাবি করেছে। এই ব্লগার আহমাদিনেজাদের জন্য একটা বার্তা লিখেছেনঃ

আমীর কবির বিশ্ববিদ্যালয়ে যা হয়েছে আর এবার তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনি যা শুনলেন তা হচ্ছে স্বাধীনতার কন্ঠ যা আপনি শুনতে পান না বা শুনতে চাননা… ক্ষমতায় ২ বছর থাকার পর, আপনি দেখালেন যে বিশ্ববিদ্যালয় সম্বন্ধে আপনার কোন ধারনা নেই।

তিনি এই অনুষ্ঠানের বেশ কিছু ছবি ছাপিয়েছেন

দয়া করে আমন্ত্রন পত্র দেখান!:

আভায়ে দানেশগা (মানে বিশ্ববিদ্যালয় কন্ঠ) ব্লগ বলেছে (ফার্সী ভাষায়) যে মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক নিরাপত্তা কর্মী পরিবেষ্টিত হয়ে এসেছিলেন। শত শত ছাত্র “একনায়ক নিপাত যাক” বলে স্লোগান দিয়েছে আর তিনজন জেলে থাকা ছাত্রের ছবি দেখিয়েছে। নিমন্ত্রপত্র থাকা ছাত্ররা শুধু তার বক্তৃতা শুনতে পেরেছে আর এই ব্লগার দাবী করেছেন যে ইসলামপন্থী বাসিজি ছাত্ররা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আহমাদিনেজাদকে সমর্থন দেবার জন্যে এসেছিল।

ঘোমার আশেঘানেহ বলেছেন (ফার্সী ভাষায়) যে এটি অদ্ভুত যে আহমাদিনেজাদ নিজেকে সমগ্র ইরানিদে রাষ্ট্রপতি বলে দাবি করে শুধু আমন্ত্রনপত্র থাকা ছাত্রদের গ্রহন করেন। তিনি লিখেছেনঃ

বক্তৃতার সময় আহমাদিনেজাদ উত্তর দেননি ছাত্রদের দ্বারা তার প্রতি লেখা একটি খোলা চিঠির। সেখানে তারা প্রশ্ন করেছিল যে তাদের তেলের টাকার কি হচ্ছে, কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে লিংঙ্গ বৈষম্যতা রয়েছে আর জেলে থাকা ছাত্রদের সম্বন্ধেও জানতে চাওয়া হয়েছিল ।

মোহাম্মাদ আলি আবতাহী, পূর্বের ভাইস প্রেসিডেন্ট আর ব্লগার এই ব্যাপারটি তুলে ধরেছেন (ফার্সী ভাষায়) যে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদকে সমগ্র বিশ্বের সামনে অপমান করতে পারলেন কিন্তু ইরানি ছাত্রদের তেহরানে আহমাদিনেজাদকে কোন প্রশ্ন করার অধিকার দেয়া হয়নি।

সম্পূর্ণ স্বাধীনতা:

ট্রিবিউন আজাদ ব্লগ ছাত্র বিক্ষোভের বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে আর জিজ্ঞেস করেছে (ফার্সী ভাষায়) যে একজন যে বলে ইরানে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আছে তার জন্যে কেন আবার ছাত্রদের দাবিয়ে রাখতে নিরাপত্তা বাহিনীর দরকার হয়। এই ব্লগার বলেছেন যে তেহরানের ভিতরেও আহমাদিনেজাদের কড়া নিরাপত্তা লাগে চলাফেরার জন্য।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .