কঙ্গো: কিনশাসা বিমান দুর্ঘটনা “এখানেই শেষ নয়”

কিনশাসার একটি দারিদ্রপীড়িত এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা কিম্বানসেকে গত সপ্তাহের বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে লিখছেন (ফরাসী ভাষায়) দু কাবিআও আ কিনশাসা ব্লগের লেখক, যিনি কঙ্গোয় বসবাসরত একজন বেলজিয়ান।

অন্তত ৫০ জন মারা গেছে এই দুর্ঘটনায় এবং আরও ডজনেরও বেশী আহত হয়েছে। “বিমান পরিবহন সেক্টর ” সংস্কারে ব্যর্থ হওয়ায় পরিবহণ মন্ত্রীকে ঘটনার পর চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে।

দু কাবিআও আ কিনশাসা ব্লগ মনে করছেন যে এই দুর্ঘটনা অবশ্যম্ভাবী ছিল:

এই দূর্ঘটনা হবে বেশ আগে থেকেই টের পাওয়া গিয়েছিল। দেশের স্থল পরিবহনের পরিকাঠামোগুলো প্রায় অনুপস্থিত (রাস্তা, রেলযোগাযোগ..), ফলে কঙ্গোর আভ্যন্তরীন যাত্রী পরিবহনের বেশীরভাগই হয় বিমানের মাধ্যমে। একটি খুব দরিদ্র দেশের জন্য, আকাশের ট্র্যাফিক খুবই ব্যস্ত। ডজনেরও বেশী ছোট ও বেসরকারী বিমান কোম্পানি রয়েছে এদেশে; তাই রয়েছে কয়েক শ উড়ন্ত কফিন (বিমান)। প্রতিদিন আমরা দেখি পুরনো এই বিমানগুলি অতি বোঝাই মানুষ নিয়ে জনগণের বাড়ির কিছু উপর দিয়ে উড়ে যেতে। এই ভেঙ্গে পড়াটি প্রথম ছিলনা… তবে শেষ ও নয়।

কঙ্গোর ব্লগার আলেক্স এন্গওয়েতে পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করেছেন এই ভাবে যে একটি দুর্ঘটনাই বিশ্বের মনোযোগ এই সমস্যার দিকে ফিরিয়ে নিয়েছে:

সিএনএন কিনশাসাতে একটি পোড়া বিমান এর চিত্র দেখায়। একটি ভীতি এবং রোমান্চকর চিত্র যা এইসব মিডিয়া দৈত্যরা দেখাতে ভালবাসে ফলে কঙ্গোর প্রতি তাদের অবজ্ঞারও অবসান ঘটে।

- জেনিফার ব্রিয়া

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .