- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

সম্প্রসারিত পে'পাল প্রবেশাধিকারে ফিলিপিনোরা উত্তেজিত

বিষয়বস্তু: ফিলিপাইনস, নাগরিক মাধ্যম, ব্যবসা ও অর্থনীতি


ফিলিপনোরা এখন থেকে পেপালের মাধ্যমে টাকা পেতে পারবে এই সংবাদ সবার নজর কেড়েছে। বেশিরভাগ ফিলিপিনো ব্লগ উত্তেজিত এবং উচ্ছসিত আর কেউ কেউ জিজ্ঞাসা করছে যে ই-কমার্সের সাইটগুলো কি পেপালের মাধ্যমে লেনদেন করা শুরু করবে আর তার ফলে ফিলিপিনোদের কাছ থেকে ফি নেবে কি না।

দ্যা জে স্পট ব্লগ, যা গত বছর ফিলিপিনোদের জন্য পূর্ণ পেপাল সার্ভিসের জন্য আন্দোলন শুরু করেছিল, অনেক আগেই এর লাভের কথা ব্যাখ্যা করেছে: [1]

দেশে পে'পাল থাকলে নিম্নের লোকেরা উপকৃত হবেঃ

১) ওয়েব ডেভেলপার

২) ডিজাইনার

৩) ফটোগ্রাফার

৪) লেখক

৫) প্রো-ব্লগার

আর প্রায় সবাই যারা কোনভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন ধরনের কাজ করে। তাদেরকে বিশ্বের যেকোন যায়গা থেকে পেপালের মাধ্যমে কয়েকটা বোতাম টিপে টাকা পরিশোধ করা যায়।

ফিলিপিনো ইন্টারনেট পথিকৃত ডিজিটাল ফিলিপিনো খুশি হয়েছে এতেঃ

পে'পাল ফিলিপাইনে কাজ করতে শুরু করায় এটা ফিলিপিনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সত্যিকারভাবে শক্তিশালী করেছে আর একই সাথে অনলাইনে প্রাপ্ত সব সুবিধাও তারা পাবে আর পেপালের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করে এমন প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করতে পারবে [2]

কিন্তু তিনি সাথেসাথে আরো যোগ করেছেনঃ

আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট, বাঙ্কো সেন্ট্রাল এনজি ফিলিপিনাস আর ব্যাঙ্কিং এর নেটোয়ার্ককে এর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে কারন বেশ কিছু ভুয়া লেনদেন [3] বিশেষ করে স্থানীয় নিলাম সাইটে হবে।

আরেকটি ব্লগ, দ্যা মাইক আবুন্দো ইফেক্ট এই সম্ভাবনার খবরে তাদের উৎসাহকে ধরে রাখতে পারছে নাঃ

এটি সবকিছু পালটিয়ে দেবে। ফিলিপিনো পে'পাল ব্যবহারকারীরা [4] এখন টাকা পেতে পারবে।

এটা বোঝার কিছুক্ষন সময় নেন। গ্রামের ফিলিপিনোরা তাদের সামগ্রী ইবে'র [5] মারফত সারা বিশ্বের যেকোন মানুষের কাছে বিক্রি করতে পারবে। প্রতিশ্রুতিশীল ফিলিপিনো সুন্দরীরা তাদের নিজস্ব ভিডিও ‘রেভার [6]‘ এ আপলোড করে পরবর্তী হ্যাপি স্লিপ [7] হতে পারবে। ফিলিপাইন – বিশেষ করে প্রত্যেক ফিলিপিনো শেষ অব্ধি বিশ্ব ই-কমার্সে কিছু টাকা আয় করতে পারবে।

আমার মাথায় এখন ফিলিপিনোদের সম্ভাবনার কথা ঘুরছে। বেশ কয়েক বছর ধরে সরকার ফিলিপিনোদের বিশ্বায়নে শক্তিশালী করতে চাচ্ছে ই-কমার্সের মাধ্যমে। ভেবে দেখুনঃ সেই শক্তি এখন এখানে।

ফিলিপিনো ব্লগারদের সাহায্য করার জন্য রেমেলাইন্স হাউজ অফ রিভিউস পে'পাল আকাউন্ট কি করে খুলতে হবে সে সম্বন্ধে একটি লেখা দিয়েছে। [8]

এছাড়াও কিছু সুক্ষ্ণ ও বিস্তারিত ব্যাপার আছে যা ব্লগ এডিক্ট দেখিয়েছেন [9], যার মধ্যে সব থেকে উল্লেখযোগ্য হলো পে'পালের টাকা পাওয়া যাবে শুধুমাত্র আমেরিকার কোন ব্যাঙ্ক আকাউন্টের মাধ্যমে বা ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে।

এর জন্য পিনয় টেক ব্লগ [10] আমাদেরকে মনে করিয়ে দিয়েছেঃ

যদিও পে'পাল দিয়ে সাধারনত: আর্থিক লেনদেন করা যায়, কিন্তু স্থানীয়ভাবে সে সুবিধা পাওয়ার কোন উপায় নেই যদি না আপনার কাছে আমেরিকার ব্যাঙ্ক আকাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ড থাকে…

যদিও ফিলিপিনোরা পে'পাল এর মাধ্যমে টাকা পেতে পারে এখন, এই ফান্ড ব্যবহার করার সব থেকে সহজ পন্থা হচ্ছে অনলাইনে কিছু কেনা। সেটা সম্ভব না হওয়ার ফলে এই সীমাবদ্ধ সেবার প্রয়োজনীয়তা প্রায় ৯৯'৯% ফিলিপিনো পে'পাল ব্যবহারকারীদের কাছেই নেই।

মাই ইলোইলো ডট কম ব্লগ একটি উপায় বের করার জন্য এগিয়ে এসেছে [11]:

ভালই হলো অবশেষে পে'পালের এখানে আসায়, তবে একটি জিনিষ বাদ দিয়ে, টাকা শুধুমাত্র আমেরিকার ব্যাঙ্ক থেকে তোলা যাবে। আমার কাছে এটা এখনো পরিষ্কার না যে ব্যাঙ্ক আকাউন্ট আমেরিকাতেই খুলতে হবে নাকি স্থানীয় আমেরিকান কোন ব্যাঙ্কে আকাউন্টে খোলা একাউন্টই যথেস্ট। আমার একটা পরামর্শ আছে যাতে কাজ হতে পারে। ডেবিট কার্ড দিয়ে টাকা তোলা যায়। ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক ভিসা কার্ড ইস্যু করে স্থানীয়ভাবে ইঅন (EON) বা ইওয়ালেট (eWallet) নামে। এদের মধ্যে থেকে বেছে নেয়া যায়। আমার ইঅন আছে এবং অনলাইন কেনাকাটায় এটি খুব ভালো কাজ করে। আমি এটার মারফত টাকা তোলার চেষ্টা করবো যখন আমি আমার বাইরের ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে টাকা নেব।

আকজাফ্রা ডট কম ও এই সমস্যা দেখে বেশ কিছু উপায়ের কথা [12] বলেছেন পে'পাল থেকে টাকা নেয়ার অবশ্যি কিছু সীমাবদ্ধতা উল্লেখসহ:

উপরোক্ত কার্ডের মধ্যে ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের ভিসা ইঅন [13] টাকা ট্রান্সফার করার জন্যে খুব ভালো কারন এটা দিয়ে টাকা তোলা যায়। আপনি ইঅন সাইবার একাউন্ট এর জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেন আর ৫ দিনে কার্ড তৈরি হয়ে যায়। তবে পে'পাল থেকে আপনার ইঅন আকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে কিছু চার্জ তারা কাটবে। আমার ইঅন কার্ড পেলে আমি এই চার্জ সম্বন্ধে জানতে পারব।

আর একটা উপায় আমি দেখার চেষ্টা করেছি আমার পে'পাল আকাউন্টের জন্য আর তা হলো একটা আন্তর্জাতিক ডেবিট কার্ড নেয়া। আমি আমার ইকোবো ডেবিট কার্ড [14] ব্যবহার করেছি (এটা ভিসা ডেবিট কার্ডের মধ্যে পড়ে) এই আশায় যে পে'পাল তা গ্রহন করবে। কিন্তু আমি একটা এরর মেসেজ পাচ্ছি যা আমি ইকোবো কাস্টামার কেয়ারকে জানিয়েছি। শেষে পে'পাল আমার ইকোবো ডেবিট কার্ড গ্রহন করেছে ৩ দিনের মধ্যে খোঁজ খবর নিয়ে।

পে'পাল যে সম্ভাবনা নিয়ে ফিলিপাইনে এসেছে তার ফলে স্থানীয় ব্যাঙ্কদের উচিত পে'পালের সাথে কথা বলে স্থানীয় ব্যাঙ্ক থেকে লেনদেন সম্ভব করা আর ফিলিপাইনের ই কমাসের জন্য যা বাধা আছে তা দূর করা। যে সব ব্যাঙ্ক চাইবে তাদের মাধ্যমে বেশি লেনদেন হোক তাদের জন্য এটা ভালো সুযোগ আর ফিলিপিনোদের জন্যও কারন তারা অনলাইন লেনদেনের টাকা ঠিকভাবে পেতে পারবে।

আপডেট(৪ অক্টোবর ২০০৭): জুজুয়া জানিয়েছেন [15] যে ফিলিপাইনের ইউনিয়ান ব্যাঙ্কের ইঅন ভিসা ইলেক্ট্রন কার্ড দিয়ে পে'পালের টাকা ওঠানো যাবে। আমেরিকার ব্যাঙ্ক একাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ডের দরকার নেই।