চীনের ট্রাফিক পুলিশদের কি আরো অস্ত্র লাগবে [1]? এই মাসের প্রথমে প্রথম দিকে যখন জানানো হয়েছিল যে দক্ষিনের [2] এক শহরের রায়ট [3] পুলিশদের তীর [4] চালানো শেখানো হচ্ছে [5], সেই একই দিন দক্ষিন–মধ্য চীনের চংকিং [6] মিউনিসিপালিটিতে একটি নতুন প্রোগ্রাম নেয়া হয় যেখানে ট্রাফিক পুলিশদের [3] হাতে বন্দুক আর বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ছাড়াও প্রত্যেক রাত ৯ টার পর মেশিনগান নিয়ে বের হবার কথা বলা হচ্ছে যার ফলে তারা মাতাল গাড়ি চালক আর ট্রাফিক আইনভঙকারীদের সেই স্থানেই ধরতে পারে।
সিনার ব্লগার ঝু পেঙ্গান, যে উপরের দুটো শহরের মধ্যে সম্পর্ক বের করেছে, সে জানিয়েছে [5] যে বর্তমান পুলিশের ফায়ার আর্ম আইন অনুযায়ী নিয়মিত পুলিশ প্রহরায় মেশিন গান নেয়া যায়না। জনগনের পুলিশ হচ্ছে জনগনের সশস্ত্র পুলিশ [7] থেকে পৃথক। উইকিপিডিয়া অনুযায়ী [3] মারাত্মক অস্ত্র ব্যবহারে তাদের একটি সীমা আছে , “ভয়ঙ্কর রায়ট থামাতে প্রয়োজন হলে, সার্বিক জীবনহানি থামাতে, বা ঘিরে ধরা কিন্তু বাধা দিচ্ছে এমন অপরাধীদের নিয়ন্ত্রন করতে। এই নিয়মে সাইরেন, পুলিশের লাইট আর বাশি বাজানের নিয়ম ও আছে।”
ঝু মনে করেন [5]:
রায়ট পুলিশ হিসাবে, যে সব ধরনের বিষ্ফোরক ঘটনা সামলায়, কয়েকটা প্রয়োজনীয় অস্ত্র তার কাছে থাকা দরকার, কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষদের ব্যবহার করা তীর ধনুকের আধুনিক সংস্করন ব্যবহার কি সুবিধা দিতে পারে? যদি আশা করেন এই ভাবে মানুষ মারা এড়ানো সম্ভব তাহলে কাদানি গ্যাস ব্যবহার করবেন, আর তা অনেক বেশি কার্যকর হবে, কিন্তু আপনি যদি গুলি করে মানুষ মারতে চান তাহলে বন্দুক বেশী কার্যকর।
পরের খবরটি বেশ সাড়া পায় [8], আর তা নিয়ে আলোচনার কোন কমতি ছিলনা। সিনা [9] কেস্কাই.সিএন (Kaysky.cn) এর মারফত একটি জরিপ করে [10] (নিন্মে উদ্ধৃত) বন্দুকধারী পুলিশের পক্ষে, যার ফলাফল এমনঃ
১) আমি এটি সমর্থন করিনা। বন্দুকের মুখে হাটা আর গাড়ী চালানো ভীতিজনক।
২) আমি সমর্থন করি। এটি আইন অনুযায়ী আর একই সাথে পুলিশের ক্ষমতা স্থাপন করে আর অপরাধ নিয়ন্ত্রন করে যার ফলে নাগরিকদের মনে আস্থা আসে।
৩) যে কোনটাই হোক কিছু আসে যায় না।
ওয়ান পোস্টের [11] পাঠকরা নিচের বাছাই করা মন্তব্যগুলো করেছেনঃ
আমি থেমে গেছি। আর মদ খেয়ে গাড়ী চালাবোনা, কিন্তু যদি লাইসেন্স ভুলে যাই? বেচে তো থাকতে হবে।
মার্শাল ল ঘোষনা করে সব শেষ করে দেন, রাস্তা এমনিতেই শত্রু দিয়ে ভরা, তাইনা?
আমি মনে করি তারা মর্টার ব্যবহার শুরু করুক, জনগন আরো আশস্ত হবে।
ভীতির মাধ্যমে সম্প্রীতি চাপিয়ে দেয়া।
প্রত্যেকের জন্য বন্দুক, এটা ভালো হবে।
সশস্ত্র পুলিশ ছাড়াও আমাদের এখন সশস্ত্র ট্রাফিক পুলিশ?
নিউজএসএসসি বিবিএস [12] এর রিপোর্ট পড়ে একজন লিখেছেনঃ
বন্দুকের নল [13] দিয়ে সম্প্রীতি আসে…হেহে।
আর নেট ইজের [14] রিপোর্টে লেখা সব থেকে ভালো মন্তব্য হলোঃ
হাহা, কেউ নিয়ম ভাঙলে গুলি খাবে। এগুলোতো ভীতিকর পুলিশ।
চংকিং কি এতোটাই এলোমেলো যে গাড়ী চেক করতে সেখানে মেশিনগান লাগে? আমি জ্ঞান হারাবো!!!
এখন আপনি জানেন আজকাল অপরাধ কেমন। ট্রাফিক পুলিশ ও এখন বন্দুক পায়। এটি আমেরিকা না ভাই , যেখানে সবার বন্দুক থাকে।
তাদের প্রত্যেককে হাত গ্রেনেড ও দেয়া উচিত তাহলে সেটা আসল ক্ষমতা প্রদর্শন হবে!
যে কেউ নিয়ম ভাঙলে সেই জায়গায় তাকে গুলি করা হবে।