ব্লগার দাস্তান রিপোর্ট করছেন যে গত ৯ই সেপ্টেম্বর তারিখে ইরানকে ‘পশ্চিমা প্রভাব’ এবং অশালীনতা থেকে বাঁচানোর জন্যে ইরানী পুলিশ কিছু কুকুরকে গ্রেফতার করে। কুকুরের মালিকরা আঘাত পেয়েছেন তাদের পোষা জন্তুর গ্রেফতারে এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পরেছেন। দাস্তান আরও জানাচ্ছেন যে গ্রেফতারকৃত এই কুকুরগুলিকে খাবার বা পানি কিছুই দেয়া হচ্ছে না। নিন্মের ছবিগুলোতে গ্রেফতারকৃত কিছু কুকুর ও তাদের কি অবস্থায় রাখা হয়েছে তা দেখা যাবে।
ব্লগার কামান্গির এই ছবিগুলি পোস্ট করেছেন এবং বলছেন:
দেখাই যাচ্ছে এই কুকুরগুলিকে এই অবস্থায় রাখা উচিৎ হয়নি, তবে বলে কি হবে তারা মানুষের সাথেও একই রকম ভাবে ব্যবহার করে।
কামান্গিরের লেখায় একজন মন্তব্য করেছেন কুকুরগুলিকে গ্রেফতারের কারন অনুমান করে:
ইসলাম ধর্মে কুকুর হচ্ছে অপবিত্র। তাই কুকুরের মালিকরা কুকুরকে আদর করে হাত ধুয়ে থাকেন। আমার মনে হয় বাড়িতে কুকুর থাকলে কাউকে কার্পেটে জায়নামাজ পেতে নামাজ পরার পুর্বে কার্পেটটি ৭ বার পরিস্কার করতে হয়। এটির জন্যেই সরকার বাড়ীতে কুকুর রাখার ঘোরতর বিরোধী। তারা মনে করে যার বাড়ীতে কুকুর রয়েছে সে ভাল মুসলমান নয়।
এটি দু:খের বিষয়, কারন কুকুররা খুব ভাল প্রানী।
টেড্ডারস নামের আরেকজন মন্তব্যকারী কিছু প্রশ্ন তুলেছেন। যেমন:
ভাল মুসলমানরা কি কোন পশু পোষেন? অথবা এটি কি নির্ভর করে ইসলামের কোন শাখা একজন অনুসরন করে আর কোন মোল্লার ধামা ধরে?
অন্যন্য মিডিয়াতেও খবর রটেছে যে একজন যুবক গ্রেফতার হয়েছেন তার হারিয়ে যাওয়া কুকুর খুঁজতে পাড়ায় পোস্টার লাগানের জন্যে।
হারিয়ে যাওয়া কুকুর খোঁজায় রত এক ইরানী যুবককে নৈতিক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তেহরানের এক দৈনিক জানাচ্ছে যে এতেমাদ মেল্লি নামক যুবককে তার হারিয়ে যাওয়া কুকুর ফিরে পাওয়ার জন্যে পুরস্কার ঘোষনা করে পোস্টার লাগানো অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়েছে।