মালাগাসির নাম করা সঙীত দল মাহালেও এর একটা গান সেরাসেরা.অর্গ ব্লগে দেয়া হয়েছেঃ
“Aoka aho,
Mba ho tompon-tsafidy,
Mba tsy havela hihidy,
Ty vavako miteny” rahafahafahana, Mahaleo. (Mg)“ আমাকে আমার পছন্দের স্বাধীনতা দাও,
আমার মুখের কথাকে থামিয়ে দিও না”
- স্বাধীনতা গানটি মাহালেও দলের লেখা।
এখান থেকে দেখা যাচ্ছে যে মালাগাসি ভাষার প্রকাশ ধরন বেশ ধারালো। কাবারে বা দীর্ঘ বক্তৃতা যে কোন গুরুত্বপুর্ণ পারিবারিক বা সামাজিক অনুষ্ঠানের আগে দেয়া হয়। অর্থনীতির কারনে বিশ্ব দরবারে যদিও ইংরেজী আর ফরাসি ভাষার প্রয়োগ বেড়েছে কিন্তু মাদাগাস্কারের মুল পরিচয় তাদের মালাগাসি ভাষাকে কেন্দ্র করে। সমাজ বিজ্ঞানীরা প্রায়ই আলোচনা করেন যে নতুন প্রজন্মের কাছে মালাগাসিতে কথা বলার ইচ্ছা কমে গেছে। মালাগাসি লেখক মিশেল রাকোটোসন জানিয়েছেনঃ
আমি ভাবছিলাম যে আমাদের সাথে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কোন বিভেদ হবে কিনা। তারা ইন্টারনেট, পার্টি আর খেলাধুলা বেশি পছন্দ করে। আর মালাগাসি ভাষা আক্ষরিক অর্থেই প্রাচীনদের ভাষা , এটি বর্তমান বাবা-মা বা বাচ্চাদের ভাষা না।
১ কোটি ৭০ লক্ষ লোক মালাগাসি ভাষাতে কথা বলে। সেই হিসাবে মালাগাসি পৃথিবীর ৫৫তম বেশি বলা ভাষা কিন্তু এটি এখনও ৬৯ ম্যাক্রোভাষার মধ্যে একটি। একটি কম বলা ভাষাকে সংরক্ষন করার কারন এটি কতজন বলে তার উপর নির্ভরশীল না হয়ে এটি যে ইতিহাস বহন করে সেজন্যেই হয়ে থাকে। কখনো কখনো গোত্রান্তরে বিভক্ত মালাগাসি জাতির জন্য এই ভাষা একত্রে থাকার একটা মাধ্যম। মালাগাসি সংস্কৃতির অন্যন্য দিকগুলোর মতো এটি মালাগাসি জাতির আলাদা উৎসের কথা বলে। আসলেই মালাগাসি ভাষা হচ্ছে মালায়সো- পলিনেশিয়ান গোষ্ঠির কিন্তু এটিকে বান্টু, আরাবিক, ফরাসি আর ইংরেজি শব্দের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে উন্নত করা হয়েছে। এই ভাষা তখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে যখন মাদাগাস্কার ফ্রান্স থেকে স্বাধীনতা চেয়েছে। সরকারের তরফ থেকে প্রথম রুলিং ছিল শিক্ষা মাধ্যমে মালাগাসিকে একটি ভাষা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা।
তাই এখন পূর্বে শোনা যায়নি এমন কন্ঠগুলোকে তুলে ধরার লক্ষ্যে এবং বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে আদান প্রদানের লক্ষ্যে গ্লোবাল ভয়েসেস মালাগাসি লিঙুয়া প্রোজেক্ট তৈরি করা হয়েছে। লিঙ্গুয়া গ্লোবাল ভয়েসেস ট্রান্সলেশান প্রোজেক্ট এ বলা হয়েছেঃ
“এটা ইংরেজী বলে না এমন লেখক ও পাঠকদের সাথে যোগাযোগের রাস্তা খুলে দেবে। বিশেষ করে ভাষা অনুবাদকরা বিশ্বে সেতুবন্ধন রচনা করছে এবং ব্লগারদের কথা প্রচারে সাহায্য করছে।”
আমরা মনে করি গ্লোবাল ভয়েসের আউটরিচ প্রোগ্রাম রাইসিং ভয়েসেস এর ধারনার সাথেও এটার মিল আছে, যার
“লক্ষ্য হচ্ছে নতুন কন্ঠ, নতুন কমিউনিটি এবং নতুন ভাষাভাষীদেরকে কথপকথনকে ওয়েবের আলাপে আনার চেষ্টা করা”
মালাগাসিতে গ্লোবাল ভয়েসেস পড়ে মালাগাসি ভাষীরা হয়তো তাদের গল্প শোনাতে আগ্রহী হতে পারে।
গ্লোবাল ভয়েসেস এর লেখক মিয়ালি আর গ্লোবাল ভয়েসেস লিঙুয়া সম্পাদক এলিস বেকারের মধ্যে আলোচনার ফলে গ্লোবাল ভয়েসেস মালাগাসি লিঙুয়া প্রজেক্ট এর উদ্ভব হয়েছে আর। এর গুরুত্ব মালাগাসি ব্লগাররা উপলব্ধি করতে পেরেছে এবং তাই তারা স্বেচ্ছাসেবী হয়ে অনুবাদ করছে। ইতিমধ্যে অনুবাদ করছেন জেন্টিলিসা, হেরি, হারিনিয়াকা, জোয়ান; আর অন্যান্যরা হয়তো শীঘ্রি যোগ দেবে। আমরা মাদাগাস্কারের স্থানীয় সংবাদপত্রের মাধ্যমে প্রকল্পটির প্রচার করছি।
-লোভা রক্তমালালা