ইরানঃ পরিবেশবাদী ব্লগাররা প্রাকৃতিক অনর্থের প্রতিবাদ করেছেন

আগাস্ট ২৭ এ বেশ কিছু পরিবেশবাদী ব্লগার আর কর্মী ইরানের লেক বাখতেগানে ২০০০ ফ্লেমিঙ্গো পাখির মৃত্যুর জন্যে প্রতিবাদ করেছেন। তারা সরকারের ঔদাসিন্য আর সাংবিধানিক আইন ভঙ্গের প্রতিবাদ করেছেন। ইরানের পরিবেশবাদী ব্লগাররা এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের গল্প বলেছেন আর প্রতিবাদ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তথ্য জানাচ্ছেন।

আমাকে বলেন কেনঃ

ব্লগার আর সাংবাদিক মজগান জামসেদি দিদবান মহিতজিস্ট (পরিবেশবাদী পাহাড়াদার) নামক ব্লগে লিখেন। তিনি সকল বন্ধু আর যারা দুষনমুক্ত ইরানকে সমর্থন করেন তাদেরকে এই প্রতিবাদে অংশগ্রহনের আহ্বান করেছেন আর বলেছেন যে রাস্তা বা বাঁধ তৈরির নামে প্রাকৃতিক পরিবেশের ধংস মানা যায় না। ইরানের সংবিধানের যে সব ধারা প্রকৃতিকে রক্ষা করার কথা বলে তার উল্লেখ করে তিনি বলেনঃ

কতৃপক্ষ যাদের দায়িত্ব সংবিধানের ৪৫ আর ৫০ নং ধারা সমুন্নত রাখার তাদেরকে এখন প্রশ্ন করা উচিত যে তারা তাদের কাজ করছে কিনা – যখন অকাজের উন্ন্য়ন প্রকল্প হাজার হাজার পশুপাখীর বাস বাখতেগান আর উরমাই লেকে পানি যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে ২০০০ ফ্লেমিঙো মারা যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। ইরানী সংসদে বসে থাকা আমাদের প্রতিনিধিদের জিঞ্জাসা করা উচিত যে বিগত ৩০ বছরে তারা একটাও এ ধরনের ঘটনার তদন্ত করেছে কিনা…

এছাড়াও জামশিদী বিচার কার্যে নিয়জিত লোকদের সমালোচনা করেন যারা প্রাকৃতিক পার্ক আর পরিবেশের ক্ষতিকারী লোকদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি।

গ্রীনব্লগ লিখেছেন যে ২৭ আগস্ট বেশ কিছু ব্লগার আর পরিবেশবাদী শোক পালন করবেন ওই ২০০০ ফ্লেমিঙ্গোর জন্য। এই ব্লগার প্রস্তাব করেছেন বেশ কিছু প্রতীকের জন্য যা ব্লগাররা তাদের ব্লগে দিতে পারেন প্রতিবাদের সমর্থনে। সব প্রতীকে একটি ফ্লেমিঙ্গোর ছবি, আর প্রতিবাদের স্থানসহ তারিখ থাকবে।

মাউন্টেনওয়াচ প্রতিবাদের কিছু ছবি ছাপিয়েছেন। উনি লিখেছেন যে ওনার সাথে কথা হয়েছে পরিবেশ দপ্তরের উপপ্রধান দেলাভার নাজাফির। নাজাফি বলেছেন যে ইরানের প্রেসিডেন্ট আর সুপ্রীম লিডার প্রকৃতি নিয়ে চিন্তা করেন। এই ব্লগার লিখেছেন যে উনি বুঝতে পারেন না যে এতো বড় বড় সব লোক চিন্তিত হওয়ার পরও কেন এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে।

ইরানের বাইরে কিছু ইরানি ব্লগার ঘটনাটিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এই ব্যাপারে লিখেছেন। দ্যা স্পিরিট অফ ম্যান কিছু ছবির লিঙ্ক দিয়ে বলেছেন:

বতমান সরকারের পরিবেশ সংক্রান্ত নীতি নিয়ে বেশ কিছু পরিবেশবাদী এনজিও তাদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ইরানের পরিবেশ দপ্তরের সামনে প্রতিবাদের সময়। তাদের বেশির ভাগই অসন্তুষ্টি ছিল এই নিয়ে যে ঠিকভাবে খেয়াল না করে কি ভাবে পাহাড়ি এলাকা, জঙল আর প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে ।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .