- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

মরক্কোঃ পিস কর্পস ব্লগারদের পরিচিতি

বিষয়বস্তু: মরোক্কো, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, উন্নয়ন, ছবি তোলা, নাগরিক মাধ্যম, পরিবেশ, ভ্রমণ, মানবতামূলক কার্যক্রম, শিল্প ও সংস্কৃতি

আপনারা নিশ্চয়ই এতদিনে লক্ষ্য করেছেন যে মরক্কোতে ইংরেজি ভাষার ব্লগারদের একটি বিচিত্র দল আছে। সাধারনত: মরক্কো থেকে ইংরেজী ভাষায় ব্লগ করে বেশীরভাগই মরক্কোবাসী তাদের ইংরেজী জ্ঞানের সদ্ব্যবহার করে। এদের সাথে বিদেশি শিক্ষক আর প্রবাসী কর্মী ছাড়া আছে আর এক দল যাদের ব্লগের একটি ঘোষনা “এই ব্লগের কোন লেখা বা ছবি ইউ এস পিস কর্পস বা অন্য কোন সংস্থার মতামত প্রকাশ করে না” দিয়ে তাদের স্বাতন্ত্রতা বুঝিয়ে দেয়।

প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ১৯৬১ এ পিস কর্পস [1] নামক একটা সরকারি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন যার মাধ্যমে আমেরিকান স্বেচ্ছাসেবকরা ২ বছর ধরে ৭৩টি দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করতে পারে। মরক্কোতে [2] পরিবেশ, স্বাস্থ্য, ক্ষুদ্র বানিজ্য, আর যুব উন্নয়নে ১৯৭ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। বিগত বছরগুলোতে এখানে ৩৫০০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করেছেন আর এখানে খুব ভালো ভালো প্রকল্প চলছে।

কিন্তু যারা পিস কর্পস এর সাথে পরিচিত তারা জানেন যে এই স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের ক্ষেত্রে কাজ করা ছাড়াও আরো অনেক কিছু করে। তাদের কাজ একজন শুভেচ্ছা দূতের মত হয়ে যায় যেহেতু তারা স্থানীয় ভাষাটা খুব ভালো পারে, স্থানীয় লোকদের সাথে মেশে আর তাদের বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে। এখানে মরক্কোতে কাজ করা পিস কর্পসের কয়েকজন ব্লগারের পরিচিতি তুলে ধরা হলঃ

৩২এন৫ডাব্লু ব্লগের কোরি ড্রাইভার, যাকে এর আগেও গ্লোবাল ভয়েসে [3] উদ্ধৃত করা হয়েছে এখন তার স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ শেষ করছে। তার নতুন লেখায় সে মরক্কোর সুন্দর সব ছবি দিয়েছে। নিন্মের ছবিটি এসাউইরার আর এই ধ্বংসস্তুপ জিমি হেন্ড্রিক্সকে তার “ক্যাসেলস ইন দ্যা স্যান্ড” গানটি লিখতে অনুপ্রাণিত করেছিল বলে শোনা যায়।

এসাউইরা

মিউজিং ফ্রম মরক্কোর [4] রেইচেল বিচ ও তার কাজ এখানে প্রায় শেষ করে ফেলেছেন। তিনি সম্প্রতি মরক্কোর সর্বোচ্চ শৃঙ্ঘ ৪১৬৭.৮ মিটার উঁচু জেবেল তুবলাকে উঠেছিলেন। একটি কবিতার শুরু এখানে আছেঃ

জেবেল তুবলাকে একবার ওঠা যেন আমার জন্য যথেষ্ট না…

মন যেন ফুটন্ত অপেক্ষায় কষ্ট আর দু:খ ভুলে গিয়েছিল…

কবিতার বাকি অংশটুকু এমনি সুন্দর। সে বেশ কয়েকটি ছবিও দিয়েছে যার মধ্যে একটি এখানে দেয়া হলঃ

পাহাঢ়

আউট অফ কন্ট্রোল [5] ব্লগটি যিনি লেখেন তিনি নিজেকে ‘এল হম্ব্রে নেগ্রিটো’ নামে পরিচয় দেন। তিনি সম্প্রতি পিস কর্পসে তার অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন:

পিস কর্পসে অনেকটা সময় একা থাকতে হয় বলে অদ্ভুত লাগে যখন আমরা কখনও দীর্ঘ সময়ের জন্য একসাথে হই। কখনও সামাজিক দিকগুলো একই রকম, মাঝে মাঝে একেবারেই আলাদা। যাই হোক, বিগত কয়েক সপ্তাহে আমি বেশ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবকের দেখা পেয়েছি যা আমার মানসিক ভারসাম্য ঠিক রাখায় সাহায্য করেছে বলে আমি মনে করি।

২৭মানথসউইদাউটবেসবল [6] স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অভিজ্ঞতার কথা বলেছেনঃ

আমিও চেষ্টা করছি মেলামেশা আর গ্রহনযোগ্যতার বিষয়গুলি ঠিক করতে, যে সব বিষয় আমার কাজের ক্ষেত্রের জন্য জরুরি। আমার মনে হয়না যে আমি পিস কর্পসের জন্যে ঠিকনা- আমার এখনো মনে হয় যে জীবনের এই পর্যায়ে এটা আমার জন্য খুব ভালো সিদ্ধান্ত – আর আমার এটাও মনে হয়না যে আমি আজরুতে অন্তর্ভূক্ত না; আমার নিজেকে অভ্যাগত মনে হয় – কিন্তু এখনো অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে আমার সম্পর্ক নিয়ে আমাকে কাজ করতে হচ্ছে। এটা ট্রেনিং এর সময় ওরা বলে না বলে এটাকে কোন বিষয় বলে প্রথমে মনে হয়নি।

শাওইয়া বি শাওইয়া [7] মরক্কোতে স্বেচ্ছাসেবকদের জীবন সম্বন্ধে জানার জন্য খুব ভালো ব্লগ। মরোক্কোর দারিজা ভাষাতে [8] এর মানে “একটু একটু করে”। সম্প্রতি এই ব্লগার লিখেছেনঃ

ঐরকম কিছু কিছু মুহূর্তে শুধু আমার মনে হয় যে আমি পিস কর্পসে আছি। আমি মরক্কোতে আছি। এখন আমি এতো অভ্যস্ত হয়ে গেছি যে এটি অদ্ভুত মনে হয়না। এটাই স্বাভাবিক মনে হয় যদিও আমি ওদের ভাষা জানি না আর একটি মাটির ঘরে আছি। এটি বলার মত কিছুনা। মাঝে মাঝে ভাবি যে আমি এখানে কি করছি, কিন্তু আসলেই আমি ভুলে যাই যে আমি কোথায় আছি। অথবা আমি ভুলিনা, আমি আমেরিকাতে নেই অবশ্যি, কিন্তু সেটা গুরুতপূর্ণ না। আমি জানি না এর মানে কি, কিন্তু সপ্তাহে একবার অন্তত আমার মনে পড়ে যে আমি এখানে থাকি আর আমি একজন স্বেচ্ছাসেবক। মাঝে মাঝে এটা আতঙ্কের মত মনে হয়, আর মাঝে মাঝে এতো খুশি লাগে যে আমি জোরে হেসে উঠি।

আপনারা নিশ্চয়ই দেখলেন যে মরক্কোর সেচ্ছাসেবকরা একটি বিচিত্র দল যাদের অবলোকন করা যায় এবং তাদের আরও গল্প আপনাদের শোনাব। আমি যখন আমি অন্য স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে পরিচিত হব তখন আপনাদেরকেও পরিচিত করিয়ে দেব।