আফ্রিকায় আবহাওয়া পরিবর্তন নিয়ে দি ইকোনমিস্ট, এনপিআর এবং অন্যান্য প্রকাশনায় সম্প্রতি আলোচনা হয়েছে। পরিবেশ সংবাদ নিয়ে আমাদের প্রথম পোস্টে আমরা উপস্থাপন করছি কেনিয়ার দুটি কন্ঠ: একটি হচ্ছে কেনভায়রোনিউজ যার বিষয়বস্তু আফ্রিকা মহাদেশের পরিবেশ এবং আরেকটি হচ্ছে ড: পিয়ুশ কামাউ, ডেনভার, আমেরিকায় অবস্থানরত একজন চিকিৎসক।
কেনভায়রোনিউজ নামের পরিবেশ ও রাজনৈতিক ব্লগে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে নাইরোবির একদা ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং ম্যালেরিয়া রোগের আশংকাজনক বৃদ্ধির মধ্যে যোগসূত্র খোঁজা।
২০০১ সালে আবহাওয়া পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্ত:সরকার প্যানেল প্রকাশিত তৃতীয় রিপোর্টে উচ্চভূমিতে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ সম্পর্কে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এই রিপোর্ট বলছে মশার জীবনচক্র এবং পরজীবি ম্যালেরিয়া জীবানুর আশ্রয়দাতা হিসেবে এর ভূমিকার জন্যে “কম তাপমাত্রার পরিবেশে, তাপমাত্রার অল্প পরিবর্তনেই ম্যালেরিয়া রোগ বেশী পরিমানে ছড়ায়” এবং “ভবিষ্যতে তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারনে আরও উচ্চতর অন্চলে যেমন পূর্ব আফ্রিকায় ম্যলেরিয়ার ব্যাপক প্রকোপের আশংকা রয়েছে”।
আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে “উচ্চভূমির ম্যালেরিয়া” এর প্রকোপ স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সংক্রান্ত আলোচনায় বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
যদিও উপরোক্ত রিপোর্টটি আরও বলছে “কেনিয়া, উগান্ডা, তান্জানিয়া এবং ইথিওপিয়ার উচ্চভূমিতে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ এবং ব্যাপ্তি সম্পর্কে অপর্যাপ্ত ঐতিহাসিক পরিসংখ্যান রয়েছে তাই সঠিক বলা যাচ্ছে না যে আবহাওয়া পরিবর্তনের কতটুকু ভূমিকা রয়েছে এর পেছনে”।
এই পোস্টে উল্লেখিত নাইরোবীর কিবেরা বস্তির (নীচের ছবি দেখুন) ডাক্তারদের মতামত এই আলোচনায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাসঙিক তথ্য যোগ করেছে।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বা যে কোন কারনেই উদ্ভূত হোক এই ম্যালেরিয়ার প্রকোপকে সামাল দিতে হচ্ছে কিবেরা বস্তির স্বাস্থ্য কর্মীদের। “আমরা সবচেয়ে বেশী ম্যালেরিয়া রোগী পাচ্ছি,” বলছেন জর্জ গেচেও, কিবেরিয়ার উশিরিকা ক্লিনিকের ক্লিনিকাল অফিসার। নার্স ডোরা নিয়ানজা, যিনি বস্তির সোয়েটো বাজারে সেনেয়ে মেডিকেল ক্লিনিকে কাজ করেন, যোগ করছেন “আমি প্রতিদিন অন্য রোগের চেয়ে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীদেরই সেবা করছি”।
পোস্টটি শেষ করা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপন দিয়ে যাতে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায়গুলো বর্ণিত হয়েছে।
এনপিআরের মর্নিং এডিশন রেডিও শোতে ড: পিয়ুস কামাউ, ডেনভারে বসবাসরত একজন প্রবাসী কেনিয়ান চিকিৎসক, কেনিয়ায় তার পরিবারের একটি ছোট কফি ফার্মে আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাবের কথা বলছেন। আপনারা তার বক্তব্যের অডিও শুনতে পারবেন “যখন খরা এসেছিল, একটি কেনিয়ান ফার্ম মরে গিয়েছিল” এই টাইটেলে ক্লিক করে। ড: কামাউর বক্তব্য একটি পূর্ণ পরিধির সমপৃক্ততা দেখিয়েছে উন্নত দেশগুলোতে আধুনিক জীবনযাত্রা যেমন গরম স্টারবাকস কফি, অধিক তেল পোড়ানো বিশালাকৃতির যানবাহন কিভাবে পৃথিবীর আবহাওয়ায় পরিবর্তন এনেছে এবং এগুলো কিভাবে তার পরিবারের ফার্মকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়েছে। এটি একটি চান্চল্যকর বক্তব্য যা উন্নত দেশগুলোতে প্রবাসীদের কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, কার্বন-ডাই অক্সাইড গ্যাস দ্বারা দুষিতকরনে তাদের অবদান এবং এটির কি প্রভাব তাদের মাতৃভূমিতে পড়ছে তা আলোচনা করছে। তিনি চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছেন যে প্রবাসীদেরও দায়িত্ব রয়েছে কার্বন ফুটপ্রিন্ট বৃদ্ধি রোধে উদ্যোগ নেয়ায়।