৯ই আগস্ট হায়দ্রাবাদ প্রেসক্লাবের এক অনুষ্ঠানে মজলিশ-এ-ইতিহাদুল মুসলিমিন (এম আই এম) এর সদস্যরা বাংলাদেশের নির্বাসিত জ্বালাময়ী লেখিকা তসলিমা নাসরিনের উপর হামলা করেছে। এম আই এম দাবি করেছে যে উক্ত বই প্রকাশনার অনুষ্ঠানের সময় লেখিকা ইসলাম ধর্ম সম্বন্ধে খারাপ উক্তি করেছে যার ফলে জনতা উত্তেজিত হয়ে আক্রমন চালিয়েছে। তারা ভারতীয় পেনাল কোড এর ধারা ১৫৩-এ অনুযায়ী বিভিন্ন দলের মধ্যে শত্রুতা বাড়ানোর জন্য তসলিমার বিরুদ্ধে কেস করেছে।
হায়দ্রাবাদ প্রেস ক্লাবে বাংলা লেখিকা তসলিমা নাসরীনকে কতিপয় উত্তেজিত লোকদের আক্রমন থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ছবি: নোয়াহ সিলাম/এএফপি
অন্য দিকে জনতা আর মিডিয়া এই আক্রমনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে আর আক্রমনকারীদের বিরদ্ধে সরকারের হালকা ব্যবস্থা নেয়ার সমালোচনা করেছে। ঘটনাটা দ্রুত রাজনৈতিক চেহারা নিচ্ছে। স্থানীয় নির্বাচন এগিয়ে আসায় বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে এম আই এম ব্যাপারটি মুসলিম ভোট পাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে। বাংলা ব্লগেও এই আক্রমনের ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। হিডেন গড এই আক্রমনকে কড়া ভাবে সমালোচনা করেছেন:
“তসলিমা লেখালেখির মাধ্যমে নিজের মত প্রকাশ করেছেন তাই কেউ যদি তার প্রতিবাদ করতে চায় তবে তাও লেখালেখির মাধ্যমেই করা উচিত । এভাবে অসামাজিক কাজকর্ম করে নয়।“
কাজি আলিম জামালও আক্রমনকারীদের তিরষ্কার করেছেন। তিনি আরো মনে করেন যে ভারত সরকারের উচিত তসলিমার নাগরিকত্বের আবেদন মন্জুর করা।
আরিফের মত ব্লগাররা মনে করেন যে বাংলাদেশে তসলিমার উপর বহিষ্কার আদেশ তুলে তাকে তার জন্মভূমিতে ফিরতে দেয়া উচিত। একই লেখার মন্তব্যে ভাস্কর, বলাই সহ অন্যরা মনে করে যে তাকে যথেষ্ট নিরাপত্তা দেয়া উচিত কারন ইসলামি গোঁড়ারা তাকে হত্যা করার ফতোয়া দিয়ে রেখেছে।
- অপর্ণা রায়