- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

ওমানঃ শিক্ষা “সময়ের অপচয়”

বিষয়বস্তু: ওমান, পরিবেশ, শিক্ষা

ওমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের যোগ্যতার মাপকাঠিটি স্থানীয়দের কাছে বিভিন্ন কারনে কখনো ঠিক মনে হয়নি। আগের “তানাউইয়া আম্মাহ” পদ্ধতি সমালোচিত হয়েছিল কারন মনে করা হত যে তাতে ছাত্ররা আসলে কিছু না শিখে শুধু মুখস্ত করতো।

উচ্চ শিক্ষার জন্য ফাইনালের নম্বর গুরুত্বপূর্ণ ছিল, খুব কম জায়গায় ছাত্রদের সাক্ষাৎকার নেয়া হত বা তাদের ব্যক্তিত্ব দেখা হত।

কিন্তু কয়েক বছর আগে, সরকার জিসিএসি আর এ-লেভেল আরম্ভ করেছে যাতে ছাত্ররা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিজেদের পছন্দ মত বিষয় পড়তে পারে আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য নিদিষ্ট বিষয়ের নম্বর দেখা হবে, তাদের মোট নম্বর না। একটা ভালো পরিবর্তন যা অনেকে পছন্দ করেছে, কিন্তু পরিবর্তনের সময়ে গুরুতর ভুল হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক।এই বছর ওমানের জন্য ভালো না, ‘গোনু'র আক্রমনের জন্য সরকারি বোর্ডের পরীক্ষা পিছানো হয়েছিল, আর খুব কম সময় দেয়া হয়েছিল বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভতির আবেদন করার জন্য। কিন্তু উচ্চ শিক্ষা ভর্তি কেন্দ্র আজ ফলাফল ঘোষনার পর অনেক ওমানি ছাত্রের নম্বর আর ভাগ্য জানা যাবে।

ব্লগার আমজাদ [1] শিক্ষা মন্ত্রনালয় নিয়ে খুবি হতাশ কিন্তু তিনি মনে করেন যে উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রনালয় খুব ভালো কাজ করছে। আমি তার কথা উদ্ধৃত করছি:

গতকাল উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রনালয় জানিয়েছে যে এই সেমিস্টারে ছাত্ররা খুব খারাপ নম্বর পাওয়ায় তারা ‘এস কিউ ইউ’ আর অন্যান্য প্রোগ্রামে ভর্তির নম্বর পরিবর্তন করছে। মিনিস্ট্রি বুঝতে পেরেছে যে প্রথম সেমিস্টারের থেকে এবার নম্বর কম যার জন্য তারা ‘এস কিউ ইউ’ আর অন্যান্য প্রোগ্রামে ভর্তির নম্বর কমিয়েছে। রেজাল্ট বেরুনোর আগে ভর্তির নম্বর ঠিক করা হয়েছিল কিন্তু সেমিস্টারের নম্বরের অবস্থা দেখে তা পরিবর্তন করা হয়েছে।

ব্লগার টিআই৩গিব খুবই রেগে লিখেছে [2] যে তার ১২ বছরের শিক্ষা জীবন জেলে কাটানোর সমানঃ

গত ১২ বছর ধরে আমি শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে পড়েছি। এটা শেষ হওয়ার পর আমি চেষ্টা করেছি আমার ওখানে কাটানো সময় আর শ্রমের মূল্যায়ন করতে। বৃথা। ওখানের লোকেরা তাকিয়ে দেখেছে যেন এই পরিনতি হয়। এর ফলে আমি খুবি বিচলিত ছিলাম আর সামনে ছিল দুইটা রাস্তা – মন খারাপ করা এবং হতাশ হওয়া, অথবা রাগ করা। আমি দ্বিতীয়টাকে বেছে নিয়েছি আর তারই প্রতিফলন আপনারা এখানে দেখছেন।

অন্য বিষয় আলচনা করতে গিয়ে ব্লগার আল মাওয়ালি [3] মনে করেন যে ওমানের আবাহাওয়ার অদ্ভুত পরিবর্তনের একটা দিক হচ্ছে গোনু, এক মাসের জন্য গ্রীষ্মের কষ্টদায়ক গরম ছিলনা আর দক্ষিন ওমানে হেমন্ত দেরি করে এসেছে। এর ফলে সবাই ভাবছে যে আসলে কি হচ্ছেঃ

বেশি দূরে না গিয়ে আমরা দেখি যে আমাদের দেশ কি ভাবে আক্রান্ত হয়েছে। গত বছরের শেষ থেকে আমরা দেখেছি যে শীত আসতে দেরি হচ্ছে। আর যখন শীত এসেছে তখন তা দীর্ঘস্থায়ী ছিল আর সাথে ছিল আশাতীত বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়া। জুনে হঠাত করে গ্রীষ্ম শুরু হল। আর এখন সালালাহ থেকে শোনা যাচ্ছে যে হেমন্ত আসতে দেরি হচ্ছে।

আমি ওমানের একটা অদ্ভুত দুর্ঘটনার ছবির [4] লিন্ক দিয়ে শেষ করবো। হ্যা, ট্রাক চালানোর কাজ ওমানিকরন করা হয়েছে।