সুদানিজ ব্লগাররা রাজনৈতিক নায়ককে সম্মান জানালো

সুদানিজ ব্লগাররা এই সপ্তাহে মূলত: দুইটি বিষয় নিয়ে লিখেছেঃ ভূতপূর্ব রাজনৈতিক আর ভাইস প্রেসিডেন্ট ড: জন গারাং সম্পর্কে আর সুদানের জাতিসংঘের দারফুর সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া নিয়ে।

অনেকের মধ্যে সুদানিজ রিটারনি ব্লগও ড জন গারাং এর সম্মানে লিখেছেন:

মৃত ড: জন গারাং সম্ভবত সুদানের সেরা রাজনীতিবীদ। দক্ষিন সুদানের ডিঙ্কা গোষ্ঠির একজন খ্রিষ্টান হিসাবে উনি সুদানের সমস্যাগুলোকে ভিন্ন আঙ্গিকে দেখতেন আর সেই সব সমস্যার পরিষ্কার সমাধান ছিল তার কাছে।

ব্ল্যাক কুশও তার এক লেখায় ড জন গারাংকে সম্মান জানিয়েছেন:

দুই বছর আগে মুক্তিযোদ্ধা আর সুদানের ভূতপূর্ব ভাইস প্রেসিডেন্ট ড জন গারাং দক্ষিন সুদানের জংগলে এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন। সুদানীরা তার স্মরনে মোমবাতি জ্বালায়, ফুল দেয় এবং সিপিএকে সমর্থনের অঙ্গীকার করে। কিন্তু, শান্তির আশা করতে এখন মরিয়া হতে হচ্ছে।

ব্ল্যাক কুশ সুদানের জাতিসঙ্গের দারফুর সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া নিয়েও লিখেছেন:

সুদান দারফুরের জন্য নতুন যুক্ত বাহিনীর কথা মেনে নিয়ে সুদান এক বিরাট কূটনৈতিক অভ্যুথান করতে পেরেছে। UNAMID (ইউনাইটেড নেশন আফ্রিকান ইউনিয়ন মিশন ইন দারফুর) এমন একটি বাহিনী যারা সুদানীজ দাবি মেনে হয়েছেঃ আফ্রিকান কাঠামো, কোন ৭ম অধ্যায় নেই, জোর করে নিরস্ত্রিকরন নেই, অবরোধের ভয় দেখানো নেই। এই জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন যে ১৭৬৯ নম্বর সিদ্ধান্তটি তাদের সাথে পরামর্শ করেই হয়েছে।

সুদানের হীনমন্নতা নিয়ে কিজি চমতকার একটা লেখা লিখেছেন:

আমরা নিজেদেরকে প্রায় নিচু করে দেখি। নিজেদের ঘৃনা করি। সব সময় চেষ্টা করি তা হতে যা আমরা নয়। নিজেদেরকে ছোট ভেবে অন্যদেরকে বড় ভাবি। মানসিক দাসত্ব থেকে আমাদের মুক্তি দরকার।

সাধারন একটা সুদানী মেয়ের স্বপ্ন হচ্ছে ভালো বিয়ে করা আর ফর্সা হওয়া। ফর্সাদের সুন্দর ভাবা হয় (সুদান একমাত্র দেশ না যারা এভাবে চিন্তা করে)।

তিনি দারফুরের উপর আরব মিডিয়ার স্বল্প প্রতিবেদন প্রচারের কথাও লেখেন। এতে তিনি নাবিল কাসেমের কথা লিখেছেন যিনি দারফুরের উপর ‘জিহাদ অন হর্সব্যাক (ঘোড়ায় চড়ে জিহাদ)‘ নামক প্রামান্য চিত্রটি তৈরি করেছেন।

দ্যা সুদানিজ থিংকার সুদানের উপর একটা SWOT বিশ্লেষন প্রয়োগ করে দেখিয়েছেন

কনিওকনিও, যিনি দক্ষিন সুদানের একজন ডাক্তার সুদানের সুরাশক্তি সমস্যা নিয়ে লিখেছেন:

কয়েকদিন আগে আমার পড়শিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। বন্ধুরা বলেছে যে সে সারা রাত ধরে মদ খাচ্ছিল। গত সপ্তাহে আমার ক্লিনিকে খুব অসুস্থ অবস্থায় একজনকে আনা হয় যার লিভারের কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলার চিহ্ন ছিল। তার দীর্ঘ মদ্যপানের ইতিহাস ছিল।

জুবাতে আগেও এরুপ ঘটনা ঘটেছে, এমনকি গাছের নীচে মৃত অবস্থায় মানুষকে পাওয়া গেছে। এখন অবস্থা আরো করুন। অনেকেই মদ্যপান মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছে, কিন্তু কেঊ কিছু করছে না। দু:খজনক ব্যাপার হচ্ছে যে লোকে অফিসে কাজের সময় মদ্যপান করছে।

সর্বশেষে ওমানে বসবাসরত আমজাদ নামক একজন সুদানীজ একটা চলচিত্র সমালোচনা পোস্ট করেছেন:

গতকাল একদল বন্ধুর সাথে আমি সিমসন চলচিত্রটি দেখেছি। চলচিত্রটি সব মিলিয়ে ভাল ছিল, কিন্তু যদি এখন না দেখে থাকেন তাহলে আমি বলব ডিভিডি বের হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। এটা সিনেমা হলে গিয়ে দেখার মত কিছু না।

- দৃমা

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .