- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

আরবদেশঃ মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুড ব্লগার গায়েব

বিষয়বস্তু: মিশর, ডিজিটাল অ্যাক্টিভিজম, তাজা খবর, প্রতিবাদ, বাক স্বাধীনতা, রাজনীতি

মিশরী ব্লগার আহমেদ সাদ দোমাহ [1] গায়েব হয়ে গেছেন এই তথ্য জানাচ্ছেন [2] ব্লগার'স অবজার্ভেটরীব্লগার'স অবজার্ভেটরী [3] তৈরি হয়েছে আরব ব্লগার আর অনলাইন লেখক যাদেরকে গ্রেপ্তার আর হয়রানি করা হয় তাদের হিসাব রাখার জন্য।

অজ্ঞাত এক জায়গা থেকে প্রাপ্ত একটি ইমেইল এই সাইটে পোস্ট করা হয়েছে যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারাকের শাসনের [4] বিরোধিতা করে লাখ লাখ সই সংগ্রহ করার প্রচারনার [1] অভিযোগে দোমাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ধরনের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে ব্লগাররা সাধারনত ‘গায়েব’ শব্দটি ব্যবহার করেন ‘কর্তৃপক্ষ দ্বারা অপহরন’ বোঝাতে।

অবজার্ভেটরীতে প্রকাশিত ই-মেইলটি সহ পোস্টটি হচ্ছেঃ

দি ব্লগার'স অবজার্ভেটরী নিম্নের খবরটি পেয়েছেঃ

মুসলিম ব্রাদারহুড [5] ব্লগার আর কবি আহমেদ সাদ দোমাহ যিনি ব্রাদারহুড কবিতার ব্লগও চালাতেন, তাকে তার সুব্রা আল খায়মার ২৫ নং সড়কের বাসার (যা ৫০ নং সড়ক থেকে ভাগ হয়ে যায় এস্টাব্লিশমেন্ট এর কাছে) কাছ থেকে অপহরন করা হয়েছে। তার ঘনিষ্ট সূত্র জানিয়েছে যে সে অবাক হয়েছে ৩ জন লোক কর্তৃক তাকে আক্রমন করতে দেখে, যাদের সে ঠেকাচ্ছিল। তারা তার চোখ বেধে ২৫ নং সড়কের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা এক নীল শেভ্রোলে গাড়ীতে নিয়ে তোলে। গাড়ীর পাশে একটা সাদা বাস দাড় করানো ছিল। পরে তারা তাকে গাড়ী থেকে বাসে সরিয়ে আজানা স্থানে নিয়ে যায়। এটি ২৬ জুলাই, বৃহষ্পতিবার সকাল ১০.৩০ থেকে ১১.০০ এর মধ্যে হয়েছে।

আহমেদ এর বন্ধু বলেছেন যে তিনি তাকে মুবারকের বিরুদ্ধে দশ লাখ স্বাক্ষর যোগার করার প্রচারনায় অংশগ্রহন করতে মানা করেছিলেন। আমি আশা করি সবাই ব্যানার লাগিয়ে আর উকিলের সাথে যোগাযোগ করে আহমেদ সাদ কে সমর্থন করবে। আল্লাহ আপনাদের ভালো কাজের জন্য পুরস্কৃত করবেন।”

আমরা এই ই-মেইল পেয়েছি। এটা লক্ষনীয় যে আহমেদ সাদ ব্লগার'স অবজার্ভেটরী এর সদস্য। এই ইমেইলটির সুত্র এখনও অজানা। অবজার্ভেটরী এই তথ্য অনুমোদন করার আগে অন্য সদস্য আর পাঠকদের কাছ থেকে আরো তথ্যের জন্য অপেক্ষা করবে।

লেখাটির উপর মন্তব্য করতে গিয়ে ব্লগার মিডো লিখেছেনঃ

এটি একটি সত্য ঘটনা যা সব ব্লগগুলো আর অন-লাইন ফোরামে জানানো হয়েছে। এখনও কেউ জানে না আহমেদ কোথায়। তাকে রাস্তা থেকে অপহরন করে এখনো মুক্তি দেয়া হয়নি।