গুয়াতেমালাঃ সাংবাদিকের লেখা ব্লগারদের চিন্তাকে নাড়া দিয়েছে

ড মারিও রবারর্তো মোরালেস হচ্ছেন দক্ষিন আমেরিকার একজন জনপ্রিয় লেখক, যিনি তার বিগত ৩০ বছরের কাজের জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রানলয় প্রদত্ত মিগুয়েল এন্জেল আস্টুরিয়াস জাতীয় পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। গুয়েতেমালার অন্যতম গুরুতপূর্ণ পত্রিকা এল পিরিওডিকোতে তিনি কলামিষ্ট হিসাবে লেখেন। এই সপ্তাহের তার লেখার বিষয় ছিল “ব্লগের চিন্তাশীল ব্যক্তিরা” যেখানে উনি ব্লগারদের বিশ্বাসযোগ্যতা আর লেখার বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করেছেন। উনি দোষারোপ করেছেন যে ব্লগাররা অল্প শিক্ষিত আর নিজেদের বাছাই করা বিষয়ে জ্ঞানের আর বিশ্লেষনের অভাব রয়েছে তাদের। তাছাড়া তারা তাদের লেখায় যে কোন পরিস্থিতির খন্ডিত চিত্র তুলে ধরে।

পত্রিকার অনলাইন সংস্করনে লেখাটির নিচে মন্তব্য বিভাগেই শুধু নয় গুয়েতেমালার ব্লগাররা তাদের ব্লগেও মোরালের বক্তব্যের প্রতিবাদ খুব জোরেশোরেই করেছেন।

স্টেফানি ফাল্লা তার ‘কোলাম্নিস্টা ডো এল পিরিওডিকো ক্রিটিকা আ লো ব্লগস” এ লেখার প্রত্যেকটি পয়েন্ট বিশ্লেষন করেছেন এবং তার সাথী ব্লগারদের উল্লেখ করে আলোচনা করেছেনঃ

আমরা ব্লগে আমাদের মতামত প্রকাশ করি। আমরা একটা ভার্চুয়াল কমিউনিটি তৈরি করে নেই যা পৃথিবীতে যা হচ্ছে তা সম্পর্কে আমাদের পরিপ্রেক্ষিতটির সম্প্রসারন করে। আমারা নিজেরাই পরিবর্তনের মূখ্য চরিত্র। আমরা আমাদের মতামত কোন ধরনের বাধা ছাড়া প্রকাশ করি আর নতুন মিডিয়ার টুলগুলো ব্যবহার করে সংবাদ পরিবেশন করি। আমরা আনুষঙ্গিক সব তথ্য জেনে নেই এবং এসব ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সাহায্য গ্রহন করি। আমাদের জ্ঞান আর ক্ষমতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কারন আমরা মানসিক ভাবে বাড়ছি এবং প্রত্যেক মিনিটে নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছি।

ব্লগার সাবিনা গালিয়ানো তার লেখায় যুক্তি দেখিয়েছেনঃ

আমরা প্রায় ৭০০ ব্লগার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করছি, আর আমি এটা জোর দিয়ে বলছি কারণ কখনো, এই ধরনের সহজ নতুন মিডিয়া সমাধান ছাড়া, আমাদের ধারনা পুরো বিশ্বকে জানানোর মত উপায় নেই এবং বিশ্বজুড়ে কেউ এত মনযোগ দিয়ে তা পড়বে না। এ ছাড়া যে কারও এই ব্লগগুলো না পড়ারও অধিকার আছে। তাই যদি এই মহাজ্ঞানী তার এত ডিগ্রির পাহাড় নিয়ে ব্লগারদের উপর বিরক্ত হন উনি এগুলো না পড়লেই পারেন। কিন্তু ব্লগারদের সবাইকে তিনি এক কাতারে ফেলতে পারেন না এবং সাধারনভাবে সিদ্ধান্ত টানতে পারেন না।

রোমেরোজিটি লিখেছেন:

এটি চিন্তাটি খুবই অহংকারী মনে হয়েছে আমার কাছে যে একজন ব্লগার একটি সমকালীন মিডিয়া টুল (ব্লগ) ব্যবহার করছেন বলেই তিনি তার বই পড়া বা শিক্ষার অন্বেষণ বাদ দিয়ে দিয়েছেন। তাদের শিক্ষাগত এবং পেশাগত উৎকর্ষতা সাধন রোধ হয়ে যাবে এরুপ ধারনাও ভুল।

অনেকে আরও মনে করেছেন যে এটি খুবই স্পষ্ট যে এই কলামটি স্বীকার করেছে যে মিডিয়াতে ব্লগগুলো গুরুত্ব পাচ্ছে এবং এগুলো একেকটি সবচেয়ে বিজ্ঞ মতামত নয়।

যাই হোক, মোরালেস এর এই কলামটি ব্লগ সম্পর্কে বেশ আগ্রহের উদ্রেক করেছে। সাথে সাথে এ সংক্রান্ত ব্লগ পোস্টগুলিতে এবং অনলাইন সংস্করনের মন্তব্য বিভাগে করা মতামতগুলিতে সুস্থ মুক্তচিন্তা ও শুভবুদ্ধির ছাপ লক্ষ্য করা গেছে।

লুইস ফিগুয়েরোরা, ক্লদিয়া নাভাস, আনা মারিয়া রদাস, মার্তা ইয়োলান্দা ডিয়াজ, এবং জর্জ যাকোবের মত গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিকরা এখন ব্লগিং করছে। তারা সবাই গুয়াতেমালার গুরুত্বপূর্ণ সংবাদপত্রগুলোতে কাজ করেন।

-রেনাটা আভিলা

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .