- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

বাংলা ব্লগ আলোচনা করছে বিবর্তন নিয়ে: জীবন, ব্লগ এবং নারীর ক্ষমতায়নের

বিষয়বস্তু: দক্ষিণ এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা, চিলি, চীন, বাংলাদেশ, ভারত, সৌদি আরব, ধর্ম, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, রাজনীতি, লিঙ্গ ও নারী

ব্লগিং আসলে কি? এটিকি নিজের প্রাত্যহিক জীবন বা দৈনন্দিন চিন্তাধারা লিপিবদ্ধ করা এবং বিশ্বের সবাইকে জানানো? এটিকি আত্মজীবনীর মতই কিছু একটা? ব্লগকে কি সাহিত্য বলা যায়? সুমন রহমান, যিনি নিজেকে গতানুগতিক ব্লগার না হয়ে অন্যমাধ্যমে প্রকাশিত লেখার ‘আপলোডার’ বলছেন, তিনি এই চমৎকার আলোচনার [1] সূত্রপাত ঘটিয়েছেন।

যখন ব্লগিং নিয়েই কথাবার্তা তখন কি ব্লগিংয়ের হাতিয়ারগুলো নিয়ে আলোচনাও কি পিছিয়ে থাকবে? খেরোখাতা [2]ব্লগারদের মধ্য জনপ্রিয় বাংলা ভাষায় লেখার টুল অভ্র কিবোর্ড [3] রিভিউ করেছেন। বলা হয় যে এর সর্বশেষ সংস্করন (৪.৫.১) অনেক ফিচারে বোঝাই কিন্তু এর কিছু হয়ত ঐচ্ছিক করা যেত (কলেবর ও সহজে ডাউনলোডের সুবিধার্থে)। এর অনেক কিছুই সাধারনত: ব্যবহৃত হয়না। এবং সফ্টওয়ারটি বিবর্তনের এই পর্যায়ে স্কিন, কন্ভার্টার ইত্যাদিতে মনযোগ দিতে পারত।

ব্লগোস্ফিয়ারের অন্যত্র কথোপকথন ছিল সেই পুরনো তর্ক – ধর্ম এবং বিবর্তনবাদ নিয়ে (যা কোন স্বার্গীক প্রভাব ছাড়া মানুষের প্রাকৃতিক ক্রমবিকাশের কথা বলে)। দিগন্ত [4] মনে করেন নিজেদের মাথা ধর্মীয় মতবাদের বালিতে গুঁজে না রেখে বিজ্ঞান এবং বৈজ্ঞানিক মতবাদের উপর বেশী ধ্যান দেয়া দরকার। ব্লগার এস্কিমো অপরদিকে মনে করেন যে বিবর্তনবাদ যেহেতু প্রমানিত নয় এটিকে একটি ‘বৈজ্ঞানিক’ মতবাদ বলা ভুল হবে। বলাই [5] তার হাস্যরস দিয়ে বলছেন যে ধর্ম সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক মানুষের উপর বর্তানো জীবনের অনুশাষনের একটি ‘সহজপাঠ'। যখনই তারা কোন সমস্যা বা বিরোধে পরবে তখনই তারা এই ‘সহজপাঠ’ এর আশ্রয় নেবে।

দুজন মহিলা রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে এবং তা বাংলা ব্লগের জনপ্রিয় টপিক জেন্ডার ইস্যুকে উসকে দিয়েছে। এবার অবশ্য আলোচনাটি সীমানার বাইরের মহিলাদের নিয়ে হচ্ছে। প্রথমত: আহমেদ ফারুখ মিশেল বাখেলেট নিয়ে লিখছেন যিনি সম্প্রতি চিলির প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহন করেছেন [6]। দ্বিতীয়ত: পাগলা বাবু কন্গ্রেস দল অনুগত প্রতিভা পাতিলের ভারতের প্রথম প্রেসিডেন্ট হবার খবর বলছেন এবং মাননীয়া পাতিল সম্পর্কে তার কি মনোভাব তা একটি চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করছেন। রে.ক.চৌ.নি. [7]চাইনিজ অভিনেত্রী জু জিন্গলেই'র ব্লগ সম্পর্কে লিখছেন যে টেকনোরাতির তথ্য অনুযায়ী ২০০৬ সালের মাঝামাঝি তা সর্বোচ্চ হিট পেয়েছিল। ফারুখ আরও বলছেন যে যদিও সারা বিশ্বে সৌদি নারীরা নির্যাতিত বলেই পরিচিত, পরিসংখ্যান বলছে যে সৌদি মহিলাদের অর্থবল রয়েছে এবং তারা ডাক্তার, শিক্ষিকা হিসেবে কর্মক্ষেত্রে যোগ দিচ্ছেন এমনকি নিজস্ব ব্যবসাও চালাচ্ছেন। ৫৬% সৌদি নারী কলেজ শিক্ষা শেষ করেছেন। নারীদের ক্ষমতায়নের এই উদাহরনগুলো অবশ্য কিছু লোককে স্পর্শ করেনি যারা মেয়েশিশুর ভ্রুন গর্ভপাতের মাধ্যমে এমনকি সদ্যজাত মেয়েশিশু মেরে ফেলছে। আশরাফ রহমান তার পোস্টে বিস্তারিত বলছেন [8]

- অপর্না রায়