গত মাসের উগান্ডার ব্লগারদের হ্যাপি আওয়ারে [1] আমি একটি ভোট নিলাম কেন ব্লগরেন [2] (উগান্ডার ব্লগাররা) তাদের ব্লগিং চালিয়ে যায়। আমার পছন্দের উত্তরটি এসেছে কার্লোর কাছ থেকে যে বলেছে ব্লগিং ফেসবুকের [3] (একটি স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট যা ইন্টারনেট কানেকটেড যুবাদের প্রিয় [4]) মতই একটি জিনিষ। উপস্থিত সব ব্লগাররাই একবাক্যে বলেছেন উগান্ডায় ব্লগিং মানে হচ্ছে একটি সামাজিকতা। এটি বোঝা যায় সাম্প্রতিক “৮টি এলোমেলো বিষয়” এর মেমটি [5] ইভান [6], মাগিন্টু [7], মাগুলা [8] এবং অন্যান্য ব্লগারদের মধ্যে সন্চালিত হতে দেখে।
এটার জন্যই মনে হয় বেশির ভাগ ব্লগারই উল্লেখ করতে ভুলে গেছেন যে গত সপ্তাহে ছিল উগান্ডার সরকার এবং লর্ডস রেসিস্টেন্স আর্মির (এল আর এ) সাথে শান্তি আলোচনা শুরুর এক বছর পুর্তি [9]। এল আর এ হচ্ছে একটি “স্যাডিস্টিক মিলিশিয়া বিপ্লবী দল যা গত দুই দশক ধরে দেশের উত্তর দিকটি নরক করে রেখেছে” [10]। এ নিয়ে যারা লিখছেন, উগান্ডায় বসবাসরত বিদেশীরা এবং আমেরিকার একটিভিস্টরা খু্বই সংকীর্ন আশার কথা জানাচ্ছেন।
শান্তির পথে সবচেয়ে বড় বাধা যা গত বছরে উঠে এসেছে তা হলো বিচার ব্যবস্থার পুন:স্থাপন এবং যা নিয়ে নোরা বোস্তানি ওয়াশিংটন পোস্টে [11] বিস্তারিত লিখেছেন। একটি পুন:স্থাপন এপ্রোচ হচ্ছে মাটো অপুট নামে ঐতিহ্যবাহী পুন:মিলন আচার পদ্ধতির ব্যবহার, গ্লেনা গর্ডন লিখছেন [12]:
উগান্ডার উত্তরের মানুষরা মাটো অপুট চাইবে, যা একটি ঐতিহ্যবাহী বিচার পদ্ধতি। এর আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে অপুট গাছের একটি তেতো রস খাওয়া। মাটো অপুট তাদের সমস্যার সমাধান করবে কিন্তু সরকার এই তেতো সমাধান চাচ্ছে না।
পরিশোধমূলক বিচার ব্যবস্থার মধ্যে পরবে উচ্চ পর্যায়ের এল আর এর নেতাদের আন্তর্জাতিক অপরাধী কোর্টে বিচার। এই এপ্রোচটি শুধু এল আর এ থেকেই বাধাপ্রাপ্ত [13] হচ্ছে তাই না উত্তর উগান্ডার অনেক লোকও তা চাইছে না। ডায়োসিজ অফ নর্দার্ন উগান্ডার উইলি একেনা বলছেন [14]:
এক বছর পরে প্রধান প্রশ্ন এখন আন্তর্জাতিক অপরাধী কোর্ট।
ডায়োসিজ অফ নর্দার্ন উগান্ডা ব্লগ আলোচনার একটি সুন্দর কালানুক্রম [15] দিয়েছেন।
সর্বশেষে উত্তর উগান্ডার উলুর বাইরে আভ্যন্তরিনভাবে স্থানান্তরিত লোকদের জন্য ক্যাম্পে অবস্থানরত শরনার্থীদের জীবনে এই আলোচনার কি প্রভাব পড়ছে তা বর্ননা করছে লুকাস আমেনো [16]:
আমাদের এখানে এই আলোচনাটি মনে হচ্ছে ভঙুর নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্ত করার জন্য একটি সাফল্য। এই ক্যাম্পে এক দশক থাকার পর শরনার্থীরা বাড়ী ফিরে যাচ্ছে। এর ফলে পাইচো গ্রামে বড় শিশু এবং বয়স্করা আবার তাদের পিতামহদের জমিতে গিয়ে চাষ করতে পারবে। ফলে এরা নিজেদের খাদ্য যোগার করতে পারবে। ভবিষ্যত আশা দেখাচ্ছে ইউ এন ফুড প্রোগ্রামের প্যাকেট খাদ্যর বাইরেও কিছু চিন্তা করার। এটি সত্যই শান্তির আশা। যদিও পাইচো গ্রামের শিশুদের জন্য এটি একটি মিশ্র আশা যাদের একলা ছেড়ে রাখা হয় বয়স্করা যখন চাষাবাদে ব্যস্ত। এটিও জটিল এই শান্তি প্রক্রিয়ার আরেকটি মোড়।