বাংলাদেশ: রাজনৈতিক সংস্কার

বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে সর্বাধিক আলোচিত বিষয়টি হচ্ছে ‘সংস্কার'।

দেশে জরুরি অবস্থা জারী রয়েছে যার ফলে উন্মুক্ত রাজনীতির উপর বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্য আলাপ করছেন দলীয় রাজনীতিকে পরিশুদ্ধ করে (দুর্নীতি থেকে) সংস্কার আনার জন্যে এবং দলর মধ্যে গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্যে। ইন দ্যা মিডল অফ নোহোয়্যার ব্লগের রুমী বলছেন মনে হচ্ছে জরুরী অবস্থা প্রয়োগকারীদের মদদে এবং নির্দেশে এমনটি হচ্ছে।

“রাজনৈতিক সংস্কারের পুর্বে কোন আলোচনা নয় (আসন্ন নির্বাচন নিয়ে)”- নির্বাচন কমিশনের এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন এন অর্ডিনারী সিটিজেন

এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোন ধরনের সংস্কার নিয়ে লোকে আলাপ করছে। রুমি বিস্তারিত জানাচ্ছেন:

এগুলো মুলত: প্রস্তাব করছে দলগুলোতে দায়িত্বের একটি সময়সীমা বেধে দিয়ে বর্তমান নেতৃত্বের পরিবর্তন, যৌথ নেতৃত্ব প্রবর্তন করা, হিসাবরক্ষনে স্বচ্ছতা আনা ইত্যাদি।

এন্জেলমর্ন  বিতর্কিত মাইনাস টু ফরমুলার সমালোচনা করেছেন। এই ফর্মুলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলের শীর্ষস্থানে পরিবর্তন ঘটানোর কথা বলছে, যাদের মুলত: দায়ী করা হয় দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্যে।

এটি এখন একটি জাতীয় আলোচনার বিষয় যে আমাদের দেশের দুই নারী নেতৃত্বকে অবসরে পাঠিয়ে দেয়া হবে কিনা। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির সবাই হঠাৎ করেই যেন মনে হচ্ছে একযোগে নতুন নেতৃত্ব চাচ্ছে ।

আমরা কি শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার কাছ থেকে তাদের পুর্বের কৃতকর্মের হিসাব না চেয়েই কি তাদের অবসরে পাঠিয়ে দেব?

যে সংঘাত সামনে আসছে তা হলো এই দুই নেত্রীর সাথে সংস্কার প্রত্যাশী তাদের দলীয় সহকর্মীদের মধ্যে বিভেদ।

ঢাকা ব্লগ  আওয়ামী লীগের একজন প্রবীন নেতা সুরন্জিত সেনগুপ্তর সংস্কার প্রস্তাবের সমালোচনা করেছেন। তিনি একে পেপসি অথবা কোক সমস্যার মত বলছেন।

তিনি মনে হয় কোন জবাবদিহীতার কথা ছাড়াই আমাদেরকে প্রধান মন্ত্রীর স্বৈরাচারীত্ব থেকে রাষ্ট্রপতি পদ্ধতিতে রুপান্তরিত করাতে চাচ্ছেন।

হঠাৎ করেই যেন সমস্ত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিজেদের দলের জন্য সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আসছেন। এন্জেলমর্ন বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন:

এটা আমার কাছে আশ্চর্য লাগছে যে জরূরী অবস্থা জারী হওয়ার প্রথম দিন থেকেই ঘরোয়া রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল কিন্তু এটি আসলে আদপে চলছে। সবাই মনে হয় ব্যাপারটা বুঝতে পারছে না।

রুমী বলছেন:

এখন যেটিকে সংস্কার কৌশল বলে দেখানো হচ্ছে, আসলে আমার মতে একটি চতুর নিস্ক্রমন কৌশল। এই সরকার ভাল করেই জানে যে যদি বিএনপি বা আওয়ামী লীগের বর্তমান নেতৃত্ব আবার ক্ষমতায় আসে তবে তাদের উপর প্রতিশোধ নিতে পারে। তাই তারা এই বর্তমান নেতৃত্বের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের মত ভুল করবে না।

অদুর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কি ঘটবে তা নিয়ে নানাজনের নানা মত রয়েছে। সবাই পরবর্তী নির্বাচনের জন্য পথ চেয়ে আছে যা আগামী বছর মাঝামাঝি সময় হবে বলে কেয়ারটেকার সরকার ঘোষনা দিয়েছেন।

1 টি মন্তব্য

এই জবাবটি দিতে চাই না

আলোচনায় যোগ দিন -> Tanoy

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .