হাইতির লোকেরা কি ড্রাগ এবং দুর্নীতি মোকাবেলা করতে পারবে?

গত সপ্তাহে হাইতির প্রসিডন্ট রেনে প্রেভাল কারিকম (CARICOM) এর ১৫টি সদস্যদেশের নেতা এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সামনে ঘোষনা দিয়েছেন যে তার সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে দুর্নীতি এবং ড্রাগ সমস্যার মোকাবেলা করা।

“যারা ড্রাগ এবং নিশিদ্ধ বস্তুর ব্যবসা করে তারা পুলিশ, বিচারক ও সরকারী কর্মচারীদের কিনে নেয়। ড্রাগ সমস্যার যদি সঠিক পন্থায় সমাধান না করা যায় তবে দেশে স্থিতিশীলতা থাকবে না। যদি ড্রাগের সমস্যা বলবৎ থাকে তবে বিনিয়োগ, উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা এইসব শব্দগুলো হয়ে যায় অবান্তর,” – প্রেভাল লো নুভেলিস্তেকে বলেছেন।

কালেক্টিফ-হাইতি-দো-প্রভ'স প্রেভালের বক্তব্যের পতিক্রিয়ায় বলেছেন যে হাইতিতে দুর্নীতি অনেক গভীরে প্রথিত এবং তিনি সংশয় প্রকাশ করেছেন যে প্রেভাল সত্যিই এর সমাধান চাইছেন কিনা।

“অনেক হাইতিবাসী এবং বিদেশীরা একটি কার্যকরী নীতি প্রনয়নের কথা আলোচনা করছেন যা দেশটিকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এনে দেবে। সবার প্রশ্নই ঘুরে ফিরে একই কথা থাকছে: কখন, কিভাবে এবং কার দ্বারা।”

“কার্যকরী রাজনীতির প্রয়োগ মানে হচ্ছে পুরনো শয়তানগুলোকে কবরে নিয়ে যাওয়া, বিরাট বাঁধা অতিক্রম করা।”

“বাঁধাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কঠিন হচ্ছে দুর্নীতি মোকাবেলা করা যা শাষক এবং শাষিত উভয় লেভেলেই রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। এটা বোঝানো জরুরী যে দুর্নীতি রাষ্ট্রর বিরুদ্ধে করা একটি অপরাধ। এবং এই মেসেজটা পাঠানো দরকার সেই সব ছোট ব্যবসায়ীদের যারা বেআইনিভাবে জঁ জাক দেসালিনে বুলভার্দের কোনা দখল করে রাথে এবং একইসাথে মন্ত্রী বা ডাইরেক্টর জেনারেলদের যারা সরকারী অর্থ চুরি করে থাকে।”

কালেক্টিফ আরও লিখছেন যে অখ্যাতিপুর্ন ‘সোকাগেট ব্যন্কং স্ক্যান্ডাল’ এর পরেও সরকারের বোধদয় হয়নি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হতে।

“আমাদের সংসদকে কলন্কিত করা সোকাগেট স্ক্যান্ডালের পর আমরা ভেবেছিলাম কিছু সাংসদ আক্ষরিক অর্থেই গভীর সমস্যায় পরবে। এর পরে ৪২০ কিলোগ্রাম কোকেইন ধরা পরেছিল যার মধ্যে জাতীয় পুলিশের কিছু সদস্যদের প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার ব্যাপারে সন্দেহ করা হয়েছিল। এই দুটি ঘটনা উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্নীতির প্রমান দেয় কিন্তু কোন অজ্ঞাত কারনে এগুলো ধামা চাপা দেয়া হয়। সন্দেহাতীতভাবে লোকজন এই নিয়ে আর প্রশ্ন তুলতে চাইবে না। কি লাভ বিচার চেয়ে শক্তি খরচ করে; যে ন্যায়বিচার কখনও আসবে না।”

কালেক্টিফ এই বিষন্ন উপসংহারে এসেছে যে হাইতবাসীরা এই স্ট্যাটাস কুওতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে এবং অলস হয়ে গেছে।

” আজ হাইতি এবং হাইতিবাসীদের স্থবীর করে রাখে এই সমস্যাগুলো এবং তারা ঘন এবং পন্কীল দুঃখকষ্টের মধ্যে সাঁতরাতে থাক। এগুলো মনের এত গভীরে ঢুকে গেছে যে তারা আর সেগুলো অনুভব করতে পারেনা।”

” সন্দেহাতীতভাবেই ভেতর থেকে মুক্তি আসবে না।”

-জেনিফার ব্রিয়া

1 টি মন্তব্য

  • […] now got stories from Haiti which translate from French-language blogs, appearing in Japanese and Bangla. That’s a partial solution to the problems we’re interested in addressing – it lets […]

আলোচনায় যোগ দিন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .