আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো ক্যম্বোডিয়ার প্রেসিডন্ট হুন সেন এবং দাতাগোষ্ঠির বৈঠক মনযোগ সহকারে অনুসরন করেছে। তবে এই সপ্তাহে তারা হতাশা প্রকাশ করেছে একটি “বার্ষিক ঘটনার” পুনরাবৃত্তির জন্য: হুন সেন দেশ থেকে দুর্নীতামুক্ত সরকারী কর্মচারীদের বের করে দেবেন। এরপর যথারীতি তিনি আরও সাহায্য চেয়েছেন এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো কোনো প্রশ্ন ব্যতিরেকেই তার কথা মেনে নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত প্রকাশিত হলো কম্বোডিয়া সরকারের বিরুদ্ধো অবৈধ গাছ কাটা এবং অনেক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এড়ানোর অব্যহিত পরেই।
ইকনমিস্টের একটি সাম্প্রতিক আর্টিকেলের উল্লেখ করে বিপ্লবী ব্লগ কেআই মিডিয়া জানাচ্ছেন যে হুন সেন আগেই বলেছেন যে অন্যন্য দেশ যাই বলুক, তিনি বড় দাতাদেশ চীন থেকে সাহায্য পাবেন:
জনাব হুন সেন পশ্চিমা দাতাদের স্মরন করিয়ে দিচ্ছেন তাদের যদি বেশী চাহিদা থাকে তবে চীনের কাছ থেকে তিনি যে কোন সময়ই শর্তহীনভাবে সফ্ট ঋন পাবেন। আগামী বছরগুলো থেকে ক্যম্বোডিয়া যে পরিমান তেল বিক্রির টাকা পাবেন তা দিয়ে বৈদেশিক ঋনের পরিমান কমিয়ে ফেলা যাবে।
টাইম ম্যাগাজিনে ক্যাম্বোডিয়ান সরকার এবং দাতাগোষ্ঠদের সমালোচনা করে আরেকটি আর্টিকেল ছেপেছে। কেআই মিডিয়া সেটা নিয়েও আলোচনা করেছেন এবং তেলই ছিল এর মুল বিষয়:
ক্যম্বোডিয়ার কৃষি অর্থনীতিকে ছাপিয়ে তেল এবং গ্যাস বিক্রির অর্থনীতির সম্ভাবনা বৈদেশিক প্রভাবকে কমিয়ে দিচ্ছে। দুবছর আগে শেভরন ক্যাম্বোডিয়ায় অফশোর তেল রিজার্ভ আবিস্কারের কথা জানায়। ভবিষ্যদ্বানী অনুযায়ী ২০১০ সাল থেকে যদি তেল বিক্রির টাকা আসা শুরু করে তবে দেশটি নিজের পায়ে দাড়াতে পারবে। যদিও নাইজেরিয়ার মত দেশে প্রাকৃতিক সম্পদের বিক্রির টাকা একশ্রেনির মানুষকেই শুধু ধনী করেছে এবং দেশের অধিকাংশ লোকেরা আগের মতই গরীব থেকেছে। তবুও আয়ের এই ভিন্ন উৎস সাহায্যর সাথে ন্যায়ের শাষনের শর্ত আরোপের পশ্চিমাদেশগুলোর প্রচেষ্টায় বাধা প্রদান করবে।
ডিটলেস আর স্কেচী এই একই আর্টিকেলকে উদ্ধৃত করেছে কিন্তু জোর দিয়েছে দাতাগোষ্ঠর গা বাচানোর প্রবণতার উপর এবং অহম প্রদর্শনের উপর। এই ব্লগার বলছেন আন্তর্জাতিক সাহায্যের ব্যবহার হয় মানুষকে সাহায্য করার জন্যে নয় বরন্চ রাজনীতির জন্য:
কঠোর মনে হলেও মুল বিষয়টি হচ্ছে ইগো.। ধনী দেশগুলো গরীব দেশগুলোকে সাহায্য প্রদান করে ভাল বোধ করে। টাকাগুলোঅভাবগ্রস্ত মানুষের কাছে না গিয়ে দুর্নীতিপরায়ন রাজনীতিবিদদের কাছ গেল কিনা সেটা বোঝার চেষ্টা তারা করেনা। তাদের কাছে চিন্তাটিই বিবেচ্য।
রাজণীতি নিয়ে মৌন ক্যাম্বোডিয়ান ব্লগোস্ফিয়ার সাম্প্রতিককালে তেমন সরব ছিল না। এই ঘটনার পর ‘কেআই মিডিয়া’ আর ‘ডিটলেস আর স্কেচী’ ব্লগ তাদের চোখা সমালচনা নিয়ে সরব থাকে।
- জিওফ্র কেইন