গুয়াতেমালা: উন্মুক্ত ইন্টারনেট- যে কেউ ব্লগ করতে পারে

গুয়াতেমালাতে একসময় রাজনৈতিক অরাজকতা ছিল, প্রেসিডেন্ট ছিলেন সেরানো এলিয়াস, এবং তিনি প্রেস সেন্সর বলবৎ করেন। সময়টি ছিল ৯০ দশকের প্রথম ভাগ এবং তখন শুধুমাত্র কিছু সৌভাগ্যবান গুয়াতেমালান ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারতেন । এটি দেশের খবর বাইরে প্রচারের জন্য চমৎকার একটি মাধ্যম ছিল। দেশের ভেতরে কি হচ্ছিল তা বিশ্বকে জানানোর এটিই অন্যতম উপায় ছিল। কিন্তু শুধুমাত্র ইন্টারনেট সুবিধাপ্রাপ্ত গুটিকয়েক উচ্চবর্গের লোকজনই তা পারতেন। তারপর টেলিযোগাযোগ সুবিধা বেসরকারীকরন করা হল, এবং সেবা প্রসারিত ও উন্নত হল। এখন অনেক লোকই সরব হয় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে এবং তারা আস্তে আস্তে ওয়েবে তাদের মনের ভাব প্রকাশ করা শিখছে।

গুয়াতেমালার ব্লগোস্ফিয়ারে বিতর্কমুলক ব্লগ রয়েছে: কিছু রাজনৈতিক মতবাদ প্রকাশ করে এবং কিছু জটিল বিষয়গুলো তুলে ধরে বক্তব্য বা বক্তব্যকারীর মাধ্যমে। এখানে আপনারা কিছু উদাহরন দেখতে পাবেন।

দশ বছর আগে গুয়াতেমালার সামরিক বাহিনী সম্পর্কে কোন সংবাদই শোনা যেতনা, এমনকি সাধারন আলাপেও। এজন্যই এটি সত্যিই উৎসাহদ্দীপক যে সামরিক বাহিনীর একজন ব্লগিং করছে। পারস্পেক্টিভা মিলিটার (স্প্যানিস ভাষায়) ব্লগের মাধ্যমে আপনি একজন কাইবিল (সৈনিকদের একটি বিতর্কিত ইউনিটের সদস্য) এর প্রশিক্ষন এবং অভিযান সম্পর্কে জানতে পারছেন। মিডিয়া এই বিষয়গুলো তুলে না ধরলেও সবার কাছে এই ব্যাপারগুলো ব্লগের মাধ্যমেই উপস্থাপন হচ্ছে।

গুয়াতেমালায় উত্তর আমেরিকান নাগরিকদের সম্পর্কে সাধরনের বিরুপ মনোভাব রয়েছে, যদিও দুজন উত্তর আমেরিকান গ্রিন্গোলগ ব্লগের মাধ্যমে এইদেশে তাদের স্বেচ্ছাসেবামুলক কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বর্ননা করছে। ভিনদেশী নাগরিকদের মাধ্যমে ভিন্ন পরিপ্রক্ষিতে কোন বিষয় দেখতে ভালই লাগে।

এটিকে আপনি তুলনা করতে পারেন হোমো হোমিনি লুপুস, চিলিতে এক্সচেন্জ প্রোগ্রাম করা একজন ব্লগার এবং এলচারাকোটেল, ইউরোপে অভিবাসন নেয়া একজন ব্লগারের সাথে। এরা দুজনই দেশে ব্লগিং শুরু করলেও বর্তমানে ভিন্ন সমাজে অর্জিত তাদের অভিজ্ঞতাকে উপস্থাপন করে গুয়াতেমালান ব্লগারদের ভিন্ন পরিপ্রক্ষিত তুলে ধরছে।

সেপ্টম্বর থেকে নির্বাচন শুরু হবে। এবং এবারই প্রথম ব্লগকে প্রচার মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা ছাড়াও পর্যবেক্ষনকারীদের হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছে। আপনি এর প্রমান পাবেন ইলেক্সিওনে গুয়াতেমালা ব্লগে। কম ফান্ডের ছোটো দলগুলো তাদের পরিকল্পনা প্রচার করার জন্য উপায় খুঁজে পেয়েছেন, যেমন এনকুয়েন্ত্রো পর গুয়াতেমালা

এবং বিস্মৃত হওয়া সরকারী পার্টির স্থানীয় সংগঠন, যেমন গানাচিনাউতলা ব্লগোস্ফিয়ারে তাদের যায়গা করে নিয়েছে।

গুয়াতেমালানরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজস্ব ধারনাকে প্রচার করার উপায় খুঁজে পেয়েছে। গুয়াতেমালান ব্লগাররা প্রায়ই সাংবাদিকদের আগই কোন বিষয় বা ঘটনা নিয়ে লিথছে এবং তারা তাদের ব্লগের মাধ্যমে বিবিধ মত বা ধারনা উপস্থাপন করছে এবং আলোচনার জন্য উন্মুক্ত করে দিচ্ছে। কিন্তু ভিন্ন মতবাদগুলো গ্রহন করার জন্য প্রয়োজনীয় সহনশীলতা ধরে রাখায় গুরুত্ব দেয়া দরকার। ব্লগারদের মধ্যেও এই সমস্যা লক্ষ্য করা গেছে। মতপ্রকাশের একটি মাধ্যম হিসাবে ব্লগের বিবধ ব্যবহার সম্ভব কিন্তু ব্লগারদের একক লক্ষ্য হএয়া উচিৎ মতের ভিন্নতাকে সম্মান প্রদর্শন এবং বাকস্বাধীনতা রক্ষা করা।

-রেনাটা আভিলা

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .