ভার্জিনিয়া টেক শুটিংয়ে মৃতদের স্মৃতিচারনে সারা পৃথিবীর সাথে বাংলা ব্লগোস্ফিয়ারও যোগ দিয়েছে। প্রবাসী [1] ‘বন্দুক নিয়ন্ত্রন‘ ইস্যুর উপর জোর দিচ্ছেন এবং বলছেন মানসিক ভারসাম্যবিহীন চো যদি বন্দুক কিনতে না পারতো তবে সে এই হত্যাযজ্ঞ চালাতে পারত না। তিনি বলছেন ‘বন্দুক নিয়ন্ত্রন আইন‘ এখন জরুরী হয়ে পড়েছে। তার লেখাটির উপর মন্তব্য করতে গিয়ে হাসিব মাইকেল মুরের ডকুমেন্টারী ছবি ‘বোউলিং ফর কন্কুবাইন [2]‘ এর কথা স্মরন করিয়ে দিয়েছেন।
বাংলা ব্লগোস্ফিয়ারে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। প্রথমত: “সামহোয়ার ইন বাংলা ব্লগ [3]” সার্ভার পরিবর্তন করে সম্পুর্ন ইউনিকোড প্লাটফর্মে চলে গিয়েছে যাতে অনেকেরই সুবিধা হয়েছে। এই জনপ্রিয় বাংলা ব্লগিং প্লাটফর্মটি পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় বর্তমানে কিছু কারিগরী সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এবং বেশ কিছু বাগের পাল্লায় পড়েছে (যেমন একটি বাগ সমস্ত ব্লগারদের প্রফাইল পরিবর্তন করে ‘কাঙাল’ শব্দটি বসিয়ে দিয়েছে)। তবে সাইট এডমিনিস্ট্রেটরগন সমস্ত শক্তি দিয়ে এ বাগগুলো মোকাবেলা করে যাচ্ছেন। দ্বিতীয়ত: বাংলা ভাষা ইন্টারনেটে আরও ভাল অবস্হান নিতে পেরেছে কারন একুশে.অরগ [4] মোজিলা ফায়ারফক্স এর বাংলা ভার্সন [5] তৈরি করে ছেড়েছে। অমি আজাদ [6] এ ব্যপারে বিস্তারিত জানাচ্ছেন।
ওদিকে পরিবর্তনের হাওয়া বাংলাদেশের রাজনীতিতেও বইছে। অপবাক [7] প্রশ্ন করছেন সামরিক বাহিনী সমর্থিত কেয়ারটেকার সরকার (একটি শুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ত্বরান্বিত করার জন্যে গঠিত) যে পদ্ধতিতে বাংলাদেশের দুই রাজনৈতিক বেগমকে (খালেদা জিয়া [8] ও শেখ হাসিনা [9]) সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন তা সঠিক কিনা। দুজনকেই তাদের বিরুদ্ধে আনীত দূর্ণীতির অভিযোগকে বিচারের সুযোগ না দিয়ে দেশ থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। পত্রিকান্তরে প্রকাশ খালেদা জিয়াকে সৌদি আরবে দেশান্তরী করে দেয়া হচ্ছে এবং অন্তর্বতীকালীন সরকার শেখ হাসিনার (ব্যক্তিগত সফররত) আমেরিকা থেকে দেশে ফেরা নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। মজার ব্যাপর হলো ভয়েস অফ বাংলাদেশী ব্লগার্স [10]এই রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের দায়ভার কিছুটা সাংবাদিকের ঘাড়েও চাপিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের আদর্শ এবং চাটুকারীতার স্বভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।